রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সিএএ নিয়ে মানুষকে বোঝাতে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানের সুফল দল পুরভোটে পাবে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। সিএএ বিরোধিতায় তৃণমূল ও বামেদের আন্দোলনে মানুষের সাড়া সেভাবে আর মিলছে না। এমনটাই দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ শীর্ষনেতাদের। তাই আসন্ন পুরভোটে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বিরোধীরা কোনও বাড়তি সুবিধা পাবে না বলেই ধারণা রাজ্য বিজেপি নেতাদের। পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে যে কেন্দ্রীয় সরকারের এখনই কোনও ভাবনা নেই এটাও বাডি় বাড়ি গিয়ে বোঝাচ্ছেন নেতারা।
বিরোধীদের পালটা ১৬ জানুয়ারি থেকে সিএএ’র পক্ষে প্রচারে ও সাধারণ মানুষকে বোঝাতে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযান শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। গোটা রাজ্যজুড়ে ১ কোটি মানুষের কাছে যাবে তারা। দলের সমস্ত স্তরের নেতৃত্বকে এই অভিযানে নামানো হয়েছে। দিলীপ ঘোষের দাবি, “সিএএ নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বিরোধীরা সেটা মানুষ বুঝতে পারছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশটাই বদলে যাবে।” গত দেড় মাস ধরে সিএএ’র পক্ষে আন্দোলন কর্মসূচির পর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি সম্পর্ক অভিযান চলবে। প্রতি বুথে ১০০টি করে বাড়িতে যাচ্ছেন নেতারা। ২৩ জানুয়ারি, প্রতি বুথে বিস্তারকরা যাবেন। প্রতি দিন ৪০ থেকে ৫০টি বাড়িতে যাবেন একজন বিস্তারক। প্রতি বুথে ৮০টি করে সিএএ সম্পর্কিত পুস্তিকা দেওয়া হচ্ছে। সিএএ’র পক্ষে প্রচারে গিয়ে এনআরসি নিয়েও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, আমরা মানুষকে বলছি এনআরসি নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনাই নেই।
কয়েক মাসের মধ্যেই একশোটির বেশি পুরসভায় নির্বাচন। ওয়ার্ড সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে পুরভোটের দামামাও বেজে গিয়েছে রাজ্যে। সিএএ নিয়ে সম্পর্ক অভিযান শেষ হলেই পুরভোটের রণকৌশল তৈরি করার কাজ শুরু করে দেবেন নেতারা। কারণ, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের এই পুরভোট বঙ্গ বিজেপির কাছে ফাইনালের আগে সেমিফাইনাল ম্যাচ। সিএএ’র বিরোধিতায় প্রচার করে পুরভোটে যাতে কোনও বাড়তি সুবিধা তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস নিতে না পারে সেদিকেই নজর বঙ্গ বিজেপির। তাই মানুষের মন থেকে সিএএ-এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের প্রচারের প্রভাব কাটাতেই তারা সচেষ্ট। মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপির টিম বঙ্গ ব্রিগেড।
The post CAA’র পক্ষে জনসম্পর্ক অভিযানে পুরভোটের আগে লাভ হবে, মনে করছে বিজেপি appeared first on Sangbad Pratidin.