গোবিন্দ রায়: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষ ‘বাঘ’বন্দি খেলা। বসিরহাট মহকুমা আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে সন্দেশখালির শেখ শাহাজাহান। গ্রেপ্তারির পরই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ তৃণমূল নেতার আইনজীবী সব্যসাচী বন্দোপাধ্যায়। তাঁকে তীব্র ‘ভর্ৎসনা’ প্রধান বিচারপতির।
তৃণমূল নেতার আইনজীবী সব্যসাচী বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম।” শেখ শাহজাহানের(Shahjahan Sheikh) আইনজীবী বলেন, “আগাম জামিনের আবেদন ২ দিন আগে খারিজ হয়েছে। নিম্ন আদালতে এখনও আমার চারটি আবেদন বিচারাধীন আছে। গতকাল মামলার কথা আমরা জানতাম না।” প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “৪৩টা মামলাও আছে।” ভর্ৎসনার সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আগামী ১০ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। এই মক্কেলের অনেক কাজ করতে ব্যস্ত থাকতে হবে। ৪-৫ জন জুনিয়র রাখতে হবে।” শেষে তিনি বলেন, “এই ব্যক্তির জন্য আমার কোন সমবেদনা নেই।” এর পরই মামলা ফিরিয়ে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: সংসারে আসছে নতুন সদস্য, তারিখ জানালেন দীপিকা-রণবীর]
রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে শেখ শাহজাহান। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার পর থেকে ‘ফেরার’ হয়ে যান শেখ শাহজাহান। বার বার ইডি তলব করে তাঁকে। তবে ইডির তলবে সাড়া দেননি সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। গোপন ডেরায় থেকেও আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। যদিও সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। শেষমেশ ৫৫ দিনের মাথায় বুধবার রাতে মিনাখা থেকে গ্রেপ্তার হন তৃণমূল নেতা। এর পরই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়।