সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। ততদিন এই ৩২ হাজার শিক্ষক আগের মতোই চাকরি করবেন এবং বেতন পাবেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের টেট থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্তদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, তাঁদের চাকরি বাতিল হবে। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করতে হবে। যে সব শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তাঁদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আনতে হবে। ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিচিউড টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।
[আরও পড়ুন: WB Madhyamik Result 2023: মাধ্যমিকে প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা, মেধাতালিকায় ঠাঁই পেল না কলকাতার কোনও পড়ুয়া]
এদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের (Justice Subrata Talukdar) ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আগের মতোই চাকরি করতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতোই। অর্থাৎ এই ৩২ হাজার শিক্ষক যাঁরা ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশের সময় অপ্রশিক্ষিত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিচিউড টেস্টের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: শনিবার থেকেই বদলাবে আবহাওয়া, রাজ্যজুড়ে বাড়বে গরম, কী বলছে হাওয়া অফিস?]
ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে শিক্ষকরা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন। আদালতে চাকরিহারাদের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, তাঁদের বক্তব্য না শুনেই সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেকারণেই সম্ভবত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে মামলার চূড়ান্ত রায় এখনও ঘোষণা করেনি ডিভিশন বেঞ্চ।