গোবিন্দ রায়: ধোপে টিকল না বিরোধী দলনেতার আপত্তি কিংবা আশঙ্কা। আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে তবেই অবশ্য সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অধিকারী পরিবারের বাসভবনে ‘শান্তিকুঞ্জে’র ১০০ মিটার দূরে নির্দিষ্ট দিনেই সভা করতে পারবেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে ‘শান্তিকুঞ্জ’-তে প্রবেশ করতে হলে আলাদা অনুমতি নিতে হবে। এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পাশাপাশি, ওইদিন সভা ঘিরে যাতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, এসপি-কে সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে (Kanthi) অভিষেকের জনসভা নিয়ে আপত্তি তোলেন বিরোধী দলনেতা। ওই দিন প্রভাত কলেজের মাঠে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের সভা করার কথা। তাঁর অভিযোগ, অধিকারী বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে সভা তৃণমূলের, যা আসলে তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করার পরিকল্পনা। পুলিশ সুপার এবং ওসিকে বলে কোনও লাভ হয়নি বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। তাই বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মামলা দায়েরর অনুমতি দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
[আরও পড়ুন: জিএসটি-তে অনীহা গুজরাটের ব্যবসায়ীদেরই, সমস্যায় ক্রেতা, বিক্রেতারা]
দুপুরে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, ”যে কোনও রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। সেখানে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।” তবে তিনি নির্দেশে আরও জানিয়েছেন, সভা চলাকালীন কোনওরকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, এলাকার মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়েন, শব্দ দূষণও যাতে না হয়, এমন নানা বিবিধ বিষয়ের দিকে নজর রাখবে জেলা পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে অপমান করার প্রতিযোগিতা চলছে কংগ্রেসে’, রাবণ প্রসঙ্গে পালটা আক্রমণ মোদির]
প্রসঙ্গত, অভিষেক ‘শান্তিকুঞ্জ’-র কাছেই সভা করতে যাচ্ছেন, তা শুনে তমলুকের সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারীর (Dibyendu Adhikari) প্রতিক্রিয়া ছিল, ”অভিষেককে বাড়িতে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাব।” আমন্ত্রণ অভিষেক গ্রহণ করেছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তিনি দলীয় সাংসদের বাড়ি চা খেতে যেতেই পারেন। এদিনের শুনানিতে সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তাতে বিচারপতি মান্থার স্পষ্ট নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে ঢুকতে হলে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন। অন্যথায় সেখানে ঢুকতে পারবেন না তৃণমূলের কেউ।