গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়তে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিল হাই কোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের ৪৭ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
একই সঙ্গে ১১ আগস্ট অর্থাৎ শুক্রবার বোর্ড গঠনের দিন তাঁরা যাতে নিশ্চিন্তে উপস্থিত থাকতে পারে তার জন্য তাঁদেরকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মতো আজ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়েই বোর্ড গঠন করতে যাবেন নন্দীগ্রামের বিজেপির (BJP) ওই জয়ী সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: ব্যালটের পর সার্টিফিকেট, এবার বিজেপির নবনির্বাচিত মহিলা প্রধানের শংসাপত্র চিবিয়ে খেল যুবক]
বোর্ড গঠনের আগেই নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ, যাতে তাঁরা বোর্ড গঠনে থাকতে না পারেন। এই আশঙ্কায় হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তাঁরা। পাশাপাশি, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়েও হাই কোর্টে মামলা করেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। সেই মামলার বিজেপি প্রার্থীদের স্বস্তি দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
[আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন]
উল্লেখ্য, শুধু বিজেপি প্রার্থীরা নন, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও এর আগে হাই কোর্টে এই ধরনের রক্ষাকবচ পেয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্তরকম FIR দায়েরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। পরে আবার ডিভিশন বেঞ্চে সেই রায় খারিজ হয়ে যায়। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এক জনস্বার্থ মামলায় গত ২০ জুলাই হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে এফআইআর (FIR) করতে পারবে পুলিশ। তার জন্য আদালতের অনুমতির দরকার নেই। পরে সুপ্রিম কোর্ট আবার সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়।