শুভঙ্কর বসু: কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট (Municipal Election) নিয়ে জটিলতা কাটল না। এ নিয়ে বিজেপির দায়ের করা দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। আগামী সোমবার ফের এই মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে তার আগে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার উভয়েই হাই কোর্টে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিল যে হাই কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হবে না। ফলে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিল।
কলকাতা পুরনিগম (KMC)-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সালে এই নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের জন্য ১৯ ডিসেম্বর দিনটি প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য। তাতে আপত্তি তোলেনি নির্বাচন কমিশনও। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি (Notification)জারি হওয়ার কথা থাকলেও আইনি জটে তা আটকেছে আপাতত।
[আরও পড়ুন: Primary TET: সুখবর! রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল বোর্ড]
বুধবার মামলাটি হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানির জন্য উঠলে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপির আইনজীবীরা আবেদন করেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা, এর উপর নির্ভর করছে পুরভোটের ভবিষ্যৎ। তাই মামলার দ্রুত শুনানি হোক। কিন্তু বিচারপতিরা তা খারিজ করে জানান, সোমবার মামলার শুনানি হবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট নিয়ে সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঐক্যমত্য হলেও বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে জটিলতা থাকছে।
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: মূক-বধির তরুণীর জবানবন্দিতে নজির, দোভাষী যন্ত্রেই ধর্ষণের পর্দাফাঁস, ধৃত ৪]
নিয়ম অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তি জারির ২৪ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হয়। ফলে সেই সময় হাতে রাখতে চায় কমিশন। তবে এর আগে উচ্চ আদালতে দাঁড়িয়েই আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি জারিতে রাজি নয়। কিন্তু যদি দেখা যায়, ডিসেম্বরে ভোট করানোর সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, বিজ্ঞপ্তি জারিতে দেরি হচ্ছে, তা হলে মামলা চলাকালীনও রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই পারেন। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।