গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নোটিস পাঠাল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া কতদিনে শুরু করা যাবে, জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে নোটিস পাঠালেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে হবে মুখ্যসচিবকে। ওই সময়সীমার মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট না দিলে হাজির হতে হবে আদালতে। নির্দেশ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের।
রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ একাধিক সরকারি কর্মী এই মুহূর্তে জেলে বা এজেন্সির হেফাজতে। এই ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর জন্য অনুমোদন চেয়ে রাজ্যকে বার বার চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই (CBI)। কিন্তু অভিযোগ, বার বার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। শেষে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে নেওয়া সম্ভব? জানতে চেয়ে এবার হাই কোর্ট রিপোর্ট তলব করল মুখ্যসচিবের। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের।
[আরও পড়ুন: দাসপুরে কর্মীদের সঙ্গে চায়ে পে চর্চা দেবের, ‘এবার বেশি মার্জিনে জিতব’, আত্মবিশ্বাসী স্টার প্রার্থী]
নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত ২ বছর ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিপুল টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন একের পর এক মন্ত্রী ও শাসকদলের বিধায়ক। অভিযোগ উঠেছিল, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে, টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। কলকাতা হাই কোর্টের পাশাপাশি এই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। তদন্তে দেরির অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: রচনা ভোটের ময়দানে নামতেই ধাক্কা খেল ‘দিদি নম্বর ১’-এর TRP! টেক্কা দিল কোন শো?]
সিবিআই আবার দাবি করছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে রাজ্যের একাধিক সরকারি আধিকারিকের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি অনুমোদনের অভাবে ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সিবিআইয়ের সেই যুক্তিতেই হাই কোর্ট মুখ্যসচিবকে নোটিস পাঠিয়েছে বলে খবর।