গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টে আপাতত স্বস্তি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আদালতের নির্দেশ ছাড়া চার্জশিট বা কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া যাবে না বলেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই, তাঁকেও অভিযুক্ত করতেন”
উপাচার্য থাকাকালীন একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠায় শান্তিনিকেতন থানা। নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের মামলা দায়ের করেন বিদ্যুৎ। ওই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একটি চিঠির প্রসঙ্গ আসে। সেই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রাক্তন উপাচার্য। বুধবারের শুনানিতে ওই চিঠি নিয় বিচারপতির প্রশ্ন, “এই চিঠির সঙ্গে মামলার কী সম্পর্ক? চিঠিতে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কী?”
[আরও পড়ুন: Burdwan Station Accident: বর্ধমান স্টেশনে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক, ৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা]
বিচারপতি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মানে এই নয় যে সেই চিঠিতে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা লাগতে পারে বা গুজব থেকে অশান্তি ছড়াতে পারে।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ টানেন বিচারপতি। ক্ষোভের সুরে বিচারপতি বলেন, “ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই। কী যে করতেন? তাকেও অভিযুক্ত করে দিতেন।”
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলির মধ্যে একটি হল তিনি টোটোচালককে টোটো চালাতে বাধা দিয়েছেন। অভিযোগ শুনে বিচারপতির মন্তব্য, “এই সব অভিযোগ করে আপনারা রাজ্য সরকারকে অপমান করছেন। বিশ্বাস করি না রাজ্যের উচ্চপদস্থ কেউ এগুলো আপনাদের করতে নির্দেশ দিতে পারে।” সওয়াল জবাব শেষে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আপাতত স্বস্তি দেন বিচারপতি। আগামী ১১ জানুয়ারি বিকেল তিনটেয় এই মামলার রায়দান করবে হাই কোর্ট।