দীপঙ্কর মণ্ডল: আদালতের নির্দেশে উচ্চমাধ্যমিক-স্তরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে গেল। আপাতত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহশিক্ষক পদে নিয়োগ করতে পারবে না সরকার৷
উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৭৩ হাজার ৫৬৩ পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে চেয়ে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)৷ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ২০১৬-র ২৭ নভেম্বর ও ৪ ডিসেম্বর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়৷ কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হয়নি৷
[মাদার টেরিজাকে অসম্মান করতেই টার্গেটে সংস্থা, বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা]
চলতি বছরের ১৬ থেকে ২১ জুলাই নিয়োগের কাউন্সেলিং হওয়ার কথা ছিল। আইন না মানার অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। বৃহস্পতিবার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে আগেই প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে। উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। মাধ্যমিক স্তরেও বড় সমস্যা হয়নি। এদিন আদালতের নির্দেশের ফলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বেশি সমস্যায় পড়বে। কারণ শূন্যপদ বেড়ে যাওয়ায় বহু স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক সংখ্যা কমে গিয়েছে। এমতাবস্থায় স্থগিতাদেশ না উঠলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আপাতত শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না রাজ্য সরকার।
[মোদির ভিডিও কনফারেন্স ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার ভবানীপুরে]
মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, নিয়োগ সংক্রান্ত আইনে ১২ নম্বর ধারায় বলা আছে, সফল প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না করে কোনওরকম নিয়োগ করা যাবে না। ফলে এসএসসি গত ৬ জুলাই কাউন্সেলিং সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তা অবৈধ। এসএসসির আইনজীবীর কাছে বিচারপতি শেখর ববি স্রেফ জানতে চেয়েছিলেন, এধরনের বিজ্ঞপ্তি তারা জারি করতে পারে কি না। উত্তরে এসএসসির আইনজীবী জানান, চাকরি প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে ডাকার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এটা কি বিধিসম্মত? বিজ্ঞপ্তি জারির আগে কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কি? আগের শুনানির পর এদিন তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এদিন এসএসসির তরফে জানানো হয়, কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। সহশিক্ষক পদে এসএসসির লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী। তবে আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে রাজ্য৷
The post ৭৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.