সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ফের ধাক্কা মানিক ভট্টাচার্যের। হাজিরা এড়াতে জরুরি শুনানির আবেদন করা হয়েছিল। তা খারিজ হয়েছে বলেই আদালত সূত্রে খবর। ফলে মানিক ভট্টাচার্যকে আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জেরার মুখে পড়তেই হবে। এদিকে পর্ষদ সভাপতিকে অপসারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলা দায়েরের অনুমতি দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চ।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগের জেরে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে ড. মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুর দু’টোর মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। বিচারপতি কিছু প্রশ্ন করবেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে তাঁকে। আপাতত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর কথা সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী।
[আরও পড়ুন: গানের গুঁতো আর মোক্সাবাদ! রাতদুপুরে রোদ্দুর রায়ের জোড়া অত্যাচারে ঘুম ছুটেছে বন্দিদের]
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জেরার মুখে যাতে না পড়তে হয় সেই কারণে এদিন জরুরি শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের তরফে। তবে খারিজ হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। ফলত এদিন দুপুর ২ টোর মধ্যে হাজিরা দিতেই হবে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি। পাশাপাশি কাজে অসুবিধার কারণ দেখিয়ে এদিন পর্ষদ সভাপতিকে অপসারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে অপসারণের পাশাপাশি, আদালতে পেশ করা নথি দিল্লিতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। আদালতের সামনে পেশ করা ২৭৮৭ জনের নাম এবং রোল নম্বরের তালিকা, নম্বর পুনর্মূল্যায়নের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির সদস্যদের নাম এবং গঠনের দিন সংক্রান্ত নথি, এই বিশেষ কমিটির রিপোর্ট, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত এবং বোর্ডের অনুমোদন সংক্রান্ত নথি গুলির প্রিন্ট আউট কবে নেওয়া হয়েছে এবং তাতে যে স্বাক্ষরগুলি রয়েছে সেগুলিই বা কবে করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে দিল্লি ফরেনসিক।