সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তির সম্পত্তি কি সমাজেরই সম্পত্তি? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নের উত্তর এল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Chief Justice DY Chandrachud) নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নয় বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ব্যক্তিগত সম্পত্তি আসলে সমাজেরই সম্পত্তি। ব্যক্তির সম্পদকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভাবা এবং প্রয়োজনে রাষ্ট্র তা অধিগ্রহণ করতে পারবে না, এমন ভাবনা রীতিমতো 'বিপজ্জনক'।
ব্যক্তির সম্পত্তিতে সমাজের কতখানি অধিকার রয়েছে, এই বিষয়ে মামলা উঠেছিল শীর্ষ আদালতে। মুম্বইয়ের প্রপার্টি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (POA) আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি রাজ্য সরকার দখল করতে পারে না। সংবিধনের ৩৯ (বি) এবং ৩১ (সি) ধারা উদাহরণ দিয়ে এই আবেদন করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আমেঠি-রায়বরেলিতে মনোনয়নের আগেই রামলালার দর্শনে অযোধ্যায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা! তুঙ্গে জল্পনা]
শুনানিতে এই বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা বলা বাড়বাড়ি হবে যে সমাজ বা সম্প্রদায়ের সম্পদ মানে শুধুমাত্র সরকারি সম্পদকেই বোঝায়, এর মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পত্তি পড়ে না। এই ভাবনা 'বিপজ্জনক'। কেন? উদাহরণ হিসেবে খনি এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অভয়ারণ্যের উদাহরণ দেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেন, যদি মনে করা হয় ৩৯ (বি) ধারায় খনি, অরণ্যও সরকারি সম্পত্তি হতে পারে না, তবে তা বাস্তবেই 'বিপজ্জনক'। মামলায় উঠে আসে জমিদারি প্রথা, ধনতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে পরিবর্তিত গণতান্ত্রিক দেশগঠনের প্রসঙ্গও।
[আরও পড়ুন: ‘ভোট না দিন, অন্তত আমার শেষকৃত্যে আসবেন’, নিজের গড়ে আবেগঘন আবেদন খাড়গের]
প্রসঙ্গত, ‘সম্পদের পুনর্বণ্টন’ নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তেহারে যে কথা বলা হয়েছে, যা নিয়ে বর্তমানে তুঙ্গে বিতর্ক। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য সেই ভাবনা ছুঁয়ে গেল। রাহুল গান্ধী জানান, সম্পদের সমীক্ষা’র উদ্দেশ্য হল-অসম বণ্টনের ফলে দেশের গরিব জনতার সঙ্গে কতখানি অবিচার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা। এইসঙ্গে প্রয়োজন মতো তা পুনর্বণ্টন করা। দেশের সব মানুষের সম্পদে নূন্যতম সাম্য আনতেই সমীক্ষা এবং পুনর্বণ্টনের কথা বলা হয়েছে, দাবি করা হয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দলের ইস্তেহারে। যদিও শাসক দল বিজেপির দাবি, নাগরিকের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস।