সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত তুঙ্গে। যার ছায়া পড়ল জি-২০-র সদস্য দেশগুলোর স্পিকারদের সম্মেলনে। বিতর্ক উসকে এলেন না কানাডার সেনেটের স্পিকার। এদিকে, নাম না করে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ওটয়াকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পি-২০-র উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বলতে শোনা যায়, “কয়েক দশক ধরে ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। এখন গোটা বিশ্ব উপলব্ধি করতে পারছে মানবতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের সকলের উচিত একযোগে এর বিরুদ্ধে লড়াই করা।” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, নাম না করে কানাডাকেই ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন মোদি।
রাজধানীতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সভাপতিত্বে ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে নবম পি-২০ বা স্পিকার সম্মেলন। যেখানে কানাডার স্পিকার উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছিল ওটয়ার তরফে। কিন্তু কথার খেলাপ করে ভারতের পথ এড়িয়ে গেলেন সেদেশের স্পিকার রেমন্ডি গ্যাগনি। এনিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, “ভারতের তরফে সব দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোনও দেশ যদি যোগদান করতে না চায় তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার।”
[আরও পড়ুন: খলিস্তানিদের খুনের হুমকির পরই বাড়ল বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা]
বলে রাখা ভালো, গত মাস থেকে খলিস্তানি কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে আছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ আনেন, কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। এর পর থেকে ভারত-কানাডা টানাপোড়েন অব্যাহত। দুই দেশ থেকেই অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়। ট্রুডোকে সরকারকে পালটা দিয়ে ভারত বারবার অভিযোগ করে এসেছে কানাডা সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি হয়ে উঠেছে।