দেবব্রত মণ্ডল, ডায়মণ্ডহারবার: তৃণমূলের (TMC) ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্যানিংয়ের (Canning) গোলাবাড়ি এলাকা। গুলি-বোমাবাজিতে আহত হলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকেও। ইতিমধ্যে এক পুলিশ আধিকারিকের পায়ে গুলিও লেগেছে বলে সূত্রের খবর। আহতদের প্রত্যেককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
জানা গিয়েছে, রবিবার ক্যানিংয়ে দলীয় সভা ছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ওই সভায় গিয়েছিল দু’পক্ষই। তবে সভার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। অভিযোগ এদিন সকাল হতেই এলাকার যুব সংগঠন এবং মূল সংগঠনের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। এই সময় আচমকাই গুলি-বোমা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। যুবর অঞ্চল সভাপতি এবং মূল সংগঠনের সভাপতি একে-অপরের দিকে গুলিও ছোড়ে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এরপরই শুরু হয় বোমাবাজি-মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। কিন্তু আক্রান্ত হন পুলিশ আধিকারিকরাও। এক পুলিশ অফিসারের পায়ে গুলিও লেগেছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আঘাত পান। আহতদের প্রত্যেককেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুরো জায়গাটি এখনও থমথমে।
[আরও পড়ুন: কোনওভাবেই ভ্যাকসিনের অপচয় নয়! দ্বিতীয় দফার টিকাকরণে সতর্কতার নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের]
শাসকদলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগের তির সমাজবিরোধীদের দিকেই। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরেশরাম দাস বলেন, “কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তা আমরা এখনও জানি না। পুলিশ খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তাঁরাই তদন্ত করবে। যারা করছে তারা অপরাধী। গুলি-বোমার রাজনীতি কখনওই তৃণমূল করে না। পুলিশ এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”