সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরিয়ানি খেয়ে উঠল ঢেকুর। পেটের ভিতর খেকে খাসি বলছে, আমি কুকুর। কিংবা বিরিয়ানি খেয়ে গুপি জিজ্ঞেস করছে, বাঘাদা এটা কী? উত্তর আসছে, কুকুর। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই এরকম রসিকতার ছড়াছড়ি। তবে তা আর শুধু রসিকতার পর্যায়ে আটকে নেই। প্রভাব ফেলেছে বাঙালির খাদ্যাভাসেও। ভাগাড় কাণ্ডের জেরে এমনিতেই মাংস বিক্রি কমেছিল। এখন এর রেস্তরাঁমুখো হচ্ছেন না ভোজনরসিক বাঙালি। বাধ্য হয়েই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করতে হয়েছে রেস্তরাঁ আ্যাসোসিয়েশনকে।
[ আরও ৫৫০ শরীরে ভাগাড়ের জীবাণুর হদিশ, আতঙ্কে প্রসূতিরা ]
পূর্ব ভারতের হোটেল অ্যান্ট রেস্টুরেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে কোনও রেস্তরাঁকেই বিশ্বস্ত জায়গা ছাড়া অন্য কোনও বিক্রেতার থেকে মাংস কিনতে মানা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাস্তার পাশের হোটেলগুলি যে কোনও সূত্র থেকে মাংস নিতে পারে। কিন্তু অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় থাকা রেস্তরাঁগুলিকে নথিভুক্ত সরবরাহকারীর থেকেই মাংস নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। কোনওরকম ফ্রোজেন মিট ব্যবহার করতে না করা হয়েছে। তবে গুজবের জেরে যে মাংস বিক্রি কমেছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন রেস্তরাঁ মালিকরা। উইকএণ্ডের পর শ্রমিক দিবসও পের হল। ছুটির তালিকা দীর্ঘ হলেও খাওয়াদাওয়ার তালিকা খাটো হয়েছে। মাংস ও মাংসজাতীয় খাবার বাদ গিয়েছে মেনু থেকে। ঝোঁকটা নিরামিষেই বেশি। এমনকী পাড়ার নির্ভরযোগ্য রেস্তরাঁগুলিকেও আর ভরসা করতে পরাছেন সাধারণ মানুষ। ফলে প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। একেবারে নামজাদা রেস্তরাঁগুলিতে সেরকম কোনও হেলদোল পড়েনি। তবে রাস্তার হোটেল থেকে সাধারণ রেস্তরাঁর বিক্রি কমেছে মারাত্মক হারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো বিক্রি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
[ হাওড়া স্টেশন থেকে সরল ঐতিহ্যবাহী বড় ঘড়ি, কেন জানেন? ]
বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষর আরজি, সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। ভাগাড়ের মাংস যারা ব্যবহার করছে না, তারাও এই গুজবের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কুকুরের মাংসের ভয়ে মাংস প্রায় ছুঁয়েও দেখছেন ক্রেতারা। এই পরিস্থিতি বদলাতে সরকারি হস্তক্ষেপেরই প্রত্যাশী রেস্তরাঁ মালিকদের একাংশ।
The post কুকুরের মাংসের ভয়ে কাঁটা শহরবাসী, হাল ফেরাতে পদক্ষেপ রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের appeared first on Sangbad Pratidin.