শুভঙ্কর বসু: লোকসভা ও বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি না মেলায় নারদকাণ্ডে চার্জশিট পেশে দেরি হচ্ছে। সিবিআইয়ের (CBI) এমন দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।
প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার জানিয়েছেন, চার্জশিট জমা দিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে কোনও আরজিই জানায়নি সিবিআই। যদিও মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,”স্পিকারের কোনও অনুমতি না নিয়েই এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট জমা দিতে পারে সিবিআই।” এ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফের আইনজীবী চান্দ্রেয়ী আলম জানান, “আইন অনুযায়ী এই অনুমতি প্রয়োজন।” তখন অভ্রতোষ মজুমদার বলেন,”অনুমতির প্রশ্ন পরে। কিন্তু কোনো রকমের অনুমতিই এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের কাছ থেকে চাওয়া হয়নি।” এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে সিবিআইকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন : পুর প্রশাসকের পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরানোর কারণ কী? জানতে চাইল হাই কোর্ট]
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রকাশ্যে আসে নারদ ভিডিও। ম্যাথু স্যামুয়েলের এই স্টিং অপারেশন নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে। তার পর হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। নারদ নিউজের প্রধান ম্যাথু স্যামুয়েল দাবি করেন, টাকার বিনিময়ে ‘রাজনৈতিক রক্ষাকবচ’ ও ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীরা।
অভিযোগ, নারদ ভিডিওয় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, মির্জা-সহ প্রয়াত তৃণমূল নেতা ও কলকাতার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ, প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, অপরূপা পোদ্দার ও অন্য নেতাদের। অভিযোগ, ওই টাকার বিনিময়ে ম্যাথু স্যামুয়েলের কাল্পনিক সংস্থা ‘ইমপেক্স’কে বেআইনিভাবে সুবিধা পায়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।