সুব্রত বিশ্বাস: কয়লা পাচার তদন্তের কিনারা করতে আরও সক্রিয় সিবিআই (CBI)। পাচারের সঙ্গে জড়িত অন্যতম মাস্টারমাইন্ড লালা ওরফে অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে মঙ্গলবার তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ৩১৩/৩, বাঙ্গুর অ্যাভিনিউয়ে গণেশ বাগাড়িয়া নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এদিন হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ফ্ল্যাট ছাড়াও কলকাতায় লালার ঘনিষ্ঠদের আরও পাঁচটি বাড়ি, অফিসে তল্লাশি হয়।
কয়লাকাণ্ডে (Coal scam) জড়িত লালা ওরফে অনুপ মাজি আপাতত অজ্ঞাতবাসে। তাকে একাধিকবার নোটিস পাঠালেও সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেননি। তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও জারি করা হয়েছে। সোমবারও নোটিস পাঠিয়ে লালাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, সে হাজিরা দেয়নি। এরপর তার বিরুদ্ধে বড়সড় আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ-সহ অন্যান্য এলাকায় চলে তল্লাশি। এর আগে কলকাতার মানিকতলায়ও লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকে পাওয়া নথির ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় গরুপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। তিনি আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে কলকাতা ফেরত ২ যাত্রীর করোনা, নতুন প্রজাতির সংক্রমণ নয় তো? বাড়ছে উদ্বেগ]
এদিকে, গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তের সূত্রে উঠে এসেছে লালা ওরফে পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী অনুপ মাজির নাম। তাকে জালে আনার চেষ্টায় সিবিআই। চলতি মাসে রানিগঞ্জ, আসানসোলের কয়লাখনি এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। লালার সঙ্গে যুক্ত অন্তত ৬ জন কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চলে। এরপর তাঁদের নোটিসও পাঠানো হয় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য। তবে লালাকে হাতে না পাওয়া পর্যন্ত গোটা তদন্তের কিনারা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের।