সুব্রত বিশ্বাস: কয়লা এবং গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে এবার রাজ্যের তিন আইপিএস (IPS) অফিসারকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের দুই প্রাক্তন পুলিশকর্তা-সহ মোট ৩ জনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আরও ৩ পুলিশ অফিসারকেও তলব করেছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সকলকেই চলতি সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের।
গরুপাচার (Cattle Sumuggling) কাণ্ডে সিবিআইয়ের গোড়া থেকেই নজর ছিল দুই সীমান্তবর্তী জেলা মালদহ ও মুর্শিদাবাদের দিকে। তদন্তে নেমে এই দুই জেলায় প্রথমে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। পাচারচক্রের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুলের ডেরা এই মুর্শিদাবাদেই। দুই জেলাতেই তার জাল ছড়িয়ে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারীরা প্রথমে মালদহের দুই পুলিশ অফিসারকে তলব করেছিলেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এখন তাঁদের নজরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, উত্তপ্ত ট্যাংরা]
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের প্রাক্তন ডিআইজি কল্লোল গণাই, যিনি বর্তমানে আইবি’র আইজি, মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন এসপি অংশুমান সাহা এবং চন্দনগরের পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি তথাগত বসুকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। চলতি সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের দপ্তরে দেখা করার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া রাজ্য পুলিশের আরও তিনজন পুলিশ ইন্সপেক্টরকেও তলব করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। এই তালিকায় রয়েছেন পুরুলিয়ার আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার সিআই অশোক মিত্র ও আরও এক ইন্সপেক্টর। এঁদের প্রত্যেককেই কয়লা এবং গরুপাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে ফের আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের, সাময়িক ব্যাহত ডাউন লাইনের পরিষেবা]
এদিকে, গরু ও কয়লা পাচারের জোড়া ঘটনায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে দুই ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র এবং গণেশ বাগাড়িয়া। তাদের সিবিআই সমন পাঠালেও কেউ হাজিরা দেননি বলে সূত্রের খবর। বিনয় মিশ্রর কলকাতার বাড়ি, অফিসের তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধারের পর তাঁকে ২ বার তলব করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু হাজিরা দেননি এই ব্যবসায়ী। ফের ১২ তারিখ তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙ্গুরের ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এরপর গণেশ বাগাড়িয়াকে নোটিস পাঠালে তিনি জানান যে দুবাইয়ে আছেন বলে হাজিরা দিতে পারবেন না। কিন্তু গত সপ্তাহেই তিনি দুবাই থেকে ফিরেছেন। ফলে সিবিআই তাঁকে ফের তলব করেছে।