অর্ণব আইচ: বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই (CBI)। শুক্রবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও অভিযুক্ত এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যেই অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে। এই মামলায় আগে অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হয়েছে।
জীবনকৃষ্ণ সাহা ও সুব্রত সামন্ত রায়ের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জালিয়াতি, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ধারা রুজু করা হয়েছে। বিধায়ক হওয়ার কারণে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে চার্জশিটে দুর্নীতি দমন আইনের ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে এখনও আদালত ওই চার্জশিট গ্রহণ করেনি বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নো ভোট টু মমতা বলে ভাঙড়ের দরজা খুলুন, আসব’, নওশাদকে বার্তা শুভেন্দুর]
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পেশ হওয়া ৪০ পাতার চার্জশিটে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে মুর্শিদাবাদ ছাড়া আরও পাঁচটি জেলার চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। প্রত্যেকটি জেলায় এজেন্ট ও সাব এজেন্ট নিযুক্ত করে যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তোলা হত, সেই বিষয়গুলিও চার্জশিটে উল্লেখ করা আছে। জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে তল্লাশির সময় নিজের দু’টি মোবাইল জীবনকৃষ্ণ পুকুরে ছুড়ে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন, তাও জানানো হয়। ওই দু’টি মোবাইল থেকে প্রচুর তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
সেই তথ্যের মধ্যে ভয়েস মেসেজ থেকে শুরু করে বেশ কিছু বৈদ্যুতিন নথি ও প্রমাণের কথা চার্জশিটে সিবিআই উল্লেখ করেছে। সিবিআইয়ের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন পদে চাকরি পেতে গেলে কত টাকা দিতে হত, চার্জশিটে সেই ‘রেট চার্ট’-এর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অন্য অভিযুক্ত সুব্রত সামন্তরায় তাঁর নিজের পরিচিত ব্যক্তিদের কীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন, কীভাবে তিনি এজেন্টের কাজও করতেন, সেই তথ্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।