সুব্রত বিশ্বাস: ১৭ দিন পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পর শনিবার দুপুরেই ফের সিবিআই (CBI)তাঁকে তলব করল। সিবিআই সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে। এই মর্মে নোটিস পাঠানো হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। তবে তিনি নিজাম প্যালেসে যাবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
গত ৬ এপ্রিল বোলপুর থেকে কলকাতা আসার পথে অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি হন অনুব্রত। তাঁর চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে একাধিক শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। টানা ১৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে তৃণমূল নেতা। শুক্রবার সন্ধেবেলা অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়েছে তাঁর। চিনার পার্কে একটি ফ্ল্যাটে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন অনুব্রত। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে চিকিৎসকের পরামর্শমতো হালকা প্রাতরাশ সেরেছেন তিনি। কমিয়ে দিয়েছেন কথাবার্তা। বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন শুয়ে। চিকিৎসকরা তাঁকে আরও একমাস বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দেওয়া হল নিষিদ্ধ ‘উগ্র হিন্দুত্ববাদী’ পত্রিকা! তুঙ্গে বিতর্ক]
এই অবস্থায় শনিবার দুপুরেই তাঁর চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছয় সিবিআই নোটিস। তাতে মাত্র কয়েকঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য। নোটিস অনুযায়ী, বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। এর আগে গরু পাচার কাণ্ডে তাঁকে ৬ বার হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত। কখনও হাই কোর্টে গিয়ে আইনি রক্ষাকবচের জোর, কখনও আবার রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ততার কারণে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেননি বীরভূমের তৃণমূল নেতা।
[আরও পড়ুন: রাজস্থান ম্যাচে ‘নো-বল’ ঘিরে ধুন্ধুমারের জের, দল তুলে নিতে চাওয়ায় কড়া শাস্তির মুখে পন্থ]
এরপর গত ৬ এপ্রিল সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে হাজিরা দিতে আসার পথেই অনুব্রত অসুস্থ হয়ে ভরতি হন হাসপাতালে। একাধিক জটিলতা থাকায় ১৭ দিন হাসপাতালেই থাকতে হয় তাঁকে। তবে ছাড়া পাওয়ার পরই তাঁকে ফের সিবিআই তলব করা নিয়ে ফের জল্পনা উসকে উঠছে। এই অবস্থায় কী করবেন অনুব্রত মণ্ডল? তাঁর হয়ে আইনজীবী কি যাবেন সিবিআই দপ্তরে নাকি এবারও এড়িয়ে যাবেন, তা অবশ্য বোঝা যাবে বিকেলেই।