সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি। গত পাঁচ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতির জন্য যে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সোমবার ফের সেই মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে আর জি কর ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলাটি গ্রহণ করা হয়। সব ঠিক থাকলে, আজ শীর্ষ আদালতে এই মামলার তদন্তের 'প্রোগ্রেস রিপোর্ট' দেবে সিবিআই। কী রয়েছে সেই অগ্রগতির রিপোর্টে? তাকিয়ে গোটা দেশ। সুবিচারের প্রত্যাশায় চাতকের মতো চেয়ে নির্যাতিতার পরিবার। স্বাভাবিকভাবেই আজ একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
৯ আগস্ট আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ১৩ আগস্ট মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্ত করার জন্য সাকুল্যে যে পাঁচদিন সময় ছিল, তাতেই মামলার মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়, বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তদন্তে বেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও হয়। তার পর আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। প্রশ্ন হল, ১৩ আগস্ট সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর ২৭ দিন পেরিয়েছে। প্রায় সপ্তাহে তদন্তের অগ্রগতি কোথায়?
[আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে নাশকতার ছক বানচাল, কাশ্মীরে সেনার হাতে নিকেশ ২ পাক জঙ্গি]
এই মামলা নিয়ে এখনও বহু প্রশ্ন ঘুরছে জনমানসে। আজ সেসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে কী? চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সিবিআই কী জানাবে? ইতিমপধ্যেই সিবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আর জি কর কাণ্ডে দোষী শুধু সঞ্জয়ই, গণধর্ষণ হয়নি বা অন্য কারও জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। সিবিআইয়ের রিপোর্টেও কী সেটাই থাকবে? সিবিআইও কি বলবে মাত্র এক জনই খুন-ধর্ষণে জড়িত? না কি আরও কারও নাম উঠে আসবে? কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে কি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলবে সিবিআই?
[আরও পড়ুন: ‘যে দেশে সীতাহরণ হলে রামায়ণ হয়…’, আর জি কর নিয়ে কড়া বার্তা মোহন ভাগবতের]
এর মধ্যে আর জি কর সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলাও গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সেই মামলায় সিবিআই সঞ্জীব ঘোষকে গ্রেপ্তার করলেও, মূল ধর্ষণ ও খুনের মামলার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খুন ও ধর্ষণের তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? একজনই গ্রেপ্তার, সেটা কলকাতা পুলিশ করেছে। তাহলে চার সপ্তাহে কী করল সিবিআই? সব জানা যাবে আজ সিবিআইয়ের রিপোর্টে। তবে আরও বড় প্রশ্ন, সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট কি মুখবন্ধ খামেই বন্দি থাকবে? না কি তার কিছুটা প্রকাশ্যে আসবে? অতীতে এই ধরনের মামলায় সিবিআইয়ের দীর্ঘসূত্রিতার বহু নজির রয়েছে। এই মামলার গুরুত্ব আদৌ বুঝেছে তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?