সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ (Reservation) প্রথা রদ করে দিলে কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা ও ক্ষোভ তৈরি হবে। এর বিরুদ্ধে একাধিক আবেদনও জমা পড়তে পারে। শুরু হতে পারে মামলাও। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও (L Nageswara Rao) এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের (BR Gavai) বেঞ্চে এই মর্মেই হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র। তাদের আরও দাবি, সংবিধান (Constitution) এবং আদালতের বেঁধে দেওয়া নিয়মের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই সংরক্ষণ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
কেন্দ্র তাদের হলফনামায় জানিয়েছে, “মামলাটি গৃহীত না হলে, তফসিলি জাতি-উপজাতির কর্মচারীদের দেওয়া পদোন্নতিতে সংরক্ষণের সুবিধাগুলি প্রত্যাহার করতে হবে। এর ফলে তাঁদের পুরনো পদে ফিরতে হতে পারে, তাদের বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ-সহ অনেক কর্মচারীর পেনশন পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন, তাঁদের দেওয়া অতিরিক্ত বেতন/পেনশন পুনরুদ্ধার করতে হবে। এর ফলে একাধিক মামলা হবে। কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হবে।”
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বেড়েছে সম্পত্তি, আম্বানিকে পিছনে ফেলে ১০০ বিলিয়নের মালিক গৌতম আদানি]
সরকারের আরও দাবি, সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি, উপজাতিদের প্রতিনিধিত্ব এখনও অনেক কম। এবং সংরক্ষণের জেরে প্রশাসনের কাজে কোনও ব্যাঘাত ঘটে না। কারণ, বার্ষিক কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাঁদের কাজ, ব্যক্তিগত অবদান, যোগ্যতা ইত্যাদির পরিমাপ করা হয়।
সরকার দিল্লির ৭৫টি মন্ত্রকের খতিয়ান পেশ করে জানিয়েছে, মোট কর্মীর সংখ্যা ২৭,৫৫,৪৩০। তাঁদের মধ্যে ৪,৭৯,৩০১ জন তফসিলি জাতি এবং ২,১৪,৭৩৮ জন তফসিলি উপজাতির। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির কর্মী আছেন ৪,৫৭,১৪৮ জন। এর আগে তফসিলি জাতি, উপজাতি কর্মীদের পদোন্নতির বিষয়ে তথ্য চেয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা দিতে বলেছিল শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: মোদিকে খোঁচা দিয়েছিলেন, নিজেও গুজরাটে এসে চরকা কাটলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল]
প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সরকারি চাকরির পদোন্নতিতে তফসিলি জাতি (এসসি), উপজাতি (এসটি) সংরক্ষণের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। এক্ষেত্রে নতুন কোনও মাপকাঠি নির্ধারণও করা হবে না। বিচারপতি নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, বিভিন্ন সরকারি পদে কেন এসসি-এসটি সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়, বিভিন্ন পদে এসসি-এসটি সংরক্ষণের অনুপাত কী হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে।