সোমনাথ রায়: ২০২২-এর মধ্যে দ্বিগুণ হবে কৃষকদের আয়। প্রধানমন্ত্রীত্বের ইনিংস শুরুর প্রথমদিকে দেশবাসীকে এই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ঘোষণা মতো চলতি বছরেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বাজেট পেশের সময় সেই লক্ষ্যপূরণে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারেননি। এবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রশ্নের উত্তরে নানা ধরনের প্রকল্পের কথা উল্লেখ করলেও অন্নদাতাদের যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, সেই সম্পর্কে কোনও দিশা দেখাতে পারল না কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক।
অত্যন্ত সহজ ভাষায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, সরকার কি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে পেরেছে? এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে অতীতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? যদি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গিয়ে থাকে, তবে গত তিন বছরে নেওয়া কোন কোন সিদ্ধান্তে তা হল? গত তিনবছরে কৃষকদের মাথাপিছু আয় কত শতাংশ বেড়েছে বা কমেছে? কৃষকদের আয় দ্বিগুণ না হয়ে থাকলে কেন হয়নি? প্রান্তিক কৃষকদের আয়েরও কি বৃদ্ধি হয়েছে?
[আরও পড়ুন: সোনিয়ার নির্দেশই শিরোধার্য, পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা সিধুর]
এই প্রশ্নগুলির জবাবে সাতপাতার দীর্ঘ জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar)। গত কয়েকবছরে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প, সিদ্ধান্ত ও অনুদানের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ উত্তরে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হয়েছে না হয়নি, সেই সম্পর্কে সরাসরি কোনও জবাব দেওয়া তো দূর, অন্যান্য নানা কথা বলে সেগুলিকে কার্যত এড়িয়ে যান কৃষিমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মাঝেই দেশে শুরু ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ]
এদিন ফেক নিউজ সংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ সংসদে তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, গত দু’বছরে ৫৬টি ইউটিউব ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ও তাদের বিভিন্ন পেজকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। বিভিন্ন ভুয়া খবর রুখতে ২০১৯ থেকে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর অধীনে ফ্যাক্ট চেক ইউনিট তৈরি করা হয়েছে, সেই তথ্যও এদিন জানায় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক।