সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে মোদি-হাসিনা বৈঠকে ফরাক্কা চুক্তি নিয়ে আলোচনায় প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল এরাজ্যের শাসকদল। বাংলাকে উপেক্ষা করে এই চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে, অভিযোগ ছিল তৃণমূলের (TMC)। এবার সেই অভিযোগের জবাব এল কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে। কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কিছুই করা হয়নি।
ফারাক্কা এবং তিস্তা চুক্তি নিয়ে আগেই জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। কেন্দ্রের দাবি, ১৯৯৬ সালের চুক্তি নিয়ে গত বছরের ২৪ জুলাই রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল। চুক্তি পুনর্নবীকরণ করতে তৈরি কমিটিতে সদস্য মনোনীত করতে বলা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তাতে রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিনিধি পাঠানোও হয়েছিল। এমনকী রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যের যে দাবিদাওয়া জানিয়েছিলেন, সেটা শোনাও হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, গঙ্গা চুক্তি নিয়ে এর আগে বহুবার আপত্তি জানানো হলেও কেন্দ্র তাতে আমল দিচ্ছে না।
[বিস্তারিত পড়ুন: ১০ মাস পরে উদ্ধার নিখোঁজ তরুণীর দেহ, ‘কাউকে না জানিয়ে পুঁতে দিয়েছি’, বলছেন মা]
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি হয় ভারতের। পরবর্তী কালে দেখা গিয়েছে, গঙ্গার ওই চুক্তিতে আসলে বাংলার সমুহ ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জেলা বছর বছর প্লাবিত হচ্ছে। চুক্তির পর তিন দশকে রাজ্যের বহু জমি গিয়েছে পদ্মা এবং গঙ্গার গ্রাসে। রাজ্যের অভিযোগ, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেসময় যে ভাবে নিয়মিত গঙ্গায় ড্রেজিং করার কথা ছিল সেটা করা হয় না। চুক্তির টাকাও দেওয়া হয়নি রাজ্যকে।
[বিস্তারিত পড়ুন: পোর্শে দুর্ঘটনা কাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরকে মুক্তির নির্দেশ বম্বে হাই কোর্টের]
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে মমতার দাবি, "আমরা এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে আপস করতে পারি না যা জনগণের উপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ধরনের চুক্তির প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলার মানুষ।" দলীয় বৈঠকেও মমতা বলেছেন, "আমি বাংলাদেশের বিপক্ষে নই। ঢাকার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো, তবে আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আমাকে বাংলার স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।আমাকে বাংলার স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।