সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের শক্তিবৃদ্ধি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে সংশোধন এনে উপত্যকার উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহাকে আরও ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) উপর্যুপরি জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। সেদিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ২০১৯ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপাল হন মনোজ সিনহা।
কী ধরনের শক্তিবৃদ্ধি হল উপরাজ্যপালের? জানা যাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এর ৫৫ নম্বর ধারার সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, বদলি, অ্যাটর্নি জেনারেল-সহ সরকারি আইনজীবীদের নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ থাকবে। এবছরই নির্বাচন হওয়ার কথা জম্মু ও কাশ্মীরে। এই পরিস্থিতিতে এমনই পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: পুলিশকে ‘মার’, গাড়ি ভাঙচুর, ছেলেধরা গুজবে আসানসোলে চরম উত্তেজনা]
সাম্প্রতিক অতীতে জম্মু ও কাশ্মীরে বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কাঠুয়াতে সেনা কনভয় লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। ওই হামলায় শহিদ হয়েছেন ৫ জওয়ান। আহত আরও অনেকে। একদিকে যখন অমরনাথ যাত্রা চলছে ঠিক সেই সময় এভাবে বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনায় স্বভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের দবি, লাগাতার অভিযানে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে উপত্যকার জঙ্গিদের। তাই আরও বেপরোয়া হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে এবার শক্তিবৃদ্ধি হল উপরাজ্যপালের।
প্রসঙ্গত, অমরনাথ যাত্রা শেষ হওয়ার কথা ১৯ আগস্ট। এর পরই জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হতে পারে। এর মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবং উপত্যকার নেতাদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনের ঘোষণার আগেই বাণিজ্যের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। অনেকেই একে সংকেত বলে মনে করছেন। অর্থাৎ ভোটশেষে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শাসনের মডেলে কী ধরনের পরিবর্তন হতে চলেছে। উপত্যকার মুখ্য দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দাবি, কেন্দ্রের মোদি সরকার চাইছে উপত্যকায় নির্বাচিত সরকারকে একটা মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলে পরিণত করতে।