সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসিনা দেশত্যাগী হওয়ার পরে বাংলাদেশে বিরোধীদের বিজয়োল্লাস হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। হামলা হয়েছে সে দেশের সংখ্যালঘুদের উপরে। বাড়ি, সম্পত্তি ছাড়াও উপাসনালয়গুলিও ছাড় পায়নি। এই অবস্থায় পদ্মাপাড়ের সংখ্যালঘু এবং ভারতীয়দের সুরক্ষায় বিশেষ কমিটি গড়ল কেন্দ্র। এই কমিটি ভারতীয় এবং হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
এদিন কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ভারত সরকার। এই কমিটি বাংলাদেশের ভারতীয় নাগরিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে।" কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দক্ষিণ বঙ্গের আইজি, ত্রিপুরায় বিএসএফের আইজি, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের দপ্তরের প্রতিনিধি, ভারতের স্থলবন্দর সচীব প্রমুখ।
[আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার: কী ঘটেছিল আর জি করে? খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন]
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে গোটা বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা'র উল্লাসে চলে যথেচ্ছ লুঠতরাজ, ভাঙচুর, বাড়ি-গাড়ি-ব্যবসাস্থলে আগুন ধরানো। সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং মানুষ খুন করা হয়। হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে ব্যাপক হারে হামলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনুস দেশে পৌঁছে বলেন, "আমাদের প্রথম কাজ হল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পোক্ত করা।" যদিও এই আশ্বাসের পরেও আতঙ্কে দেশ ছাড়তে চাইছেন অধিকাংশ সংখ্যালঘু পরিবার। এই অবস্থায় তাঁদের সুরক্ষায় কমিটি গড়ল ভারত সরকার।