সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁসির মতো নিষ্ঠুর, যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি নয়! মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কি বিকল্প পদ্ধতি ভাবা উচিত? কেন্দ্রকে আলোচনা শুরু করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার থেকে অন্য কোনও পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দিলে কি কম যন্ত্রণা হতে পারে? তা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত তথ্য চাইছে শীর্ষ আদালত।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীদের ফাঁসির সাজা বাতিলের দাবিতে একটি আরজি দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারী ঋষি মালহোত্রার দাবি, আইন কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে কাউকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারাটা নিষ্ঠুর এবং যন্ত্রণাদায়ক। তাই অপরাধীদের বিকল্প কোনও যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। বিকল্প হিসাবে, ইঞ্জেকশন, গুলি করে মারা বা ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মতো পদ্ধতির চিন্তাভাবনা করা হোক।
[আরও পড়ুন: ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি, অপেক্ষা বাড়ছে সরকারি কর্মীদের]
মামলাকারীর এই দাবিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্যনিষ্ঠ কোনও গবেষণার তথ্য পাওয়া সম্ভব কিনা সেটাও জানতে চেয়েছে। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই কেন্দ্রের মতামত জানাতে বলা হয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলকে। ‘প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য,”আমাদের কোনও গবেষণালব্ধ তথ্য দিন। কতটা যন্ত্রণা হয় সেটা দেখার জন্য। এটা নিয়ে দরকার পড়লে আমরা একটি কমিটি গড়ে দিতেও রাজি আছি।”
[আরও পড়ুন: সুহানা খানকে দীপিকা বলে ভুল! যুবকের কথা শুনে কী করলেন শাহরুখকন্যা?]
ভারতে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়াটা ব্রিটিশ আমলের পদ্ধতি। সেই পদ্ধতি বদলের ব্যাপারটা যে সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে সেটা বোঝা গিয়েছে বিচারপতিদের কথোপকথনে। বিচারপতিদের বক্তব্য,”ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ডও বেদনাদায়ক। আর গুলি করে মারাটা স্বৈরাচারী শাসকদের প্রিয় আমোদের বিষয় ছিল। এটা পুরোপুরি মানবাধিকারের পরিপন্থী।” প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আমাদের বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যদি অন্য কোনও পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়, তাহলে ফাঁসির সাজাকে বেআইনি ঘোষণা করা যেতেই পারে।”