সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণের দ্রুত বিচার চেয়েছিলেন। কড়া আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিলেন। এবার মমতাকে পালটা চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তার পরেও রাজ্য সরকার অনুমোদিত অধিকাংশ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করেনি। পকসো মামলার জন্য মাত্র ৬টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছিল, দেশে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন রুখতে কড়া আইন আনতে হবে। আজকের চিঠিতে এর জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন রুখতে দেশে যথেষ্ট কড়া আইন রয়েছে। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনের শাস্তির ধারাগুলি উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে এই আইন কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মাঝ সমুদ্রে ডুবল কলকাতা থেকে আন্দামানগামী জাহাজ, ১১ জনকে উদ্ধার উপকূলরক্ষী বাহিনীর]
মুখ্যমন্ত্রী নিজের চিঠিতে এই ধরনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে। জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের দ্রুত বিচার নিয়ে প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রকল্প বাংলায় ঠিকমতো কার্যকর করা হয়নি বলে দাবি তাঁর। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। বাংলার জন্য প্রথমে ১২৩টি কোর্টের অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০টি ছিল পকসো মামলার বিচারের জন্য। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত একটিও কোর্টও চালু করা হয়নি। এর পর ওই বছরের ৮ জুন কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য। যেখানে তারা এই প্রকল্পে অংশ নিতে চায়। সেই সময় রাজ্যকে ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক অনুমোদিত হয়। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছটি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছটি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, এ রাজ্যে ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ এবং পকসো মামলার বিচার ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও অনুমোদন দেওয়া বাকি ১১টি কোর্ট চালু করতে পারেনি রাজ্য সরকার।