সাদার্ন সমিতি: ০
মোহনবাগান: ৩ (ক্রোমা, আজহার, শিল্টন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবটি টানা সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছে। এবারও অনামী রেনবোর বিরুদ্ধে মরশুমের শুরুটা করেছে চ্যাম্পিয়নদের মতোই। কয়েক গজ দূরের অন্য ক্লাবটিতে তাই চাপা একটা টেনশন প্রথম থেকেই ছিল। যে টেনশন অনেকটাই দূর হয়ে গেল প্রথম ম্যাচের পর। কোনও অঘটন না ঘটিয়ে সাদার্ন সমিতিকে উড়িয়ে দিয়েই মরশুম শুরু করল টিম মোহনবাগান।
[শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস টিম ইন্ডিয়ার]
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে একটা সময় দল না গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাদার্নের কর্তারা। পরে ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় গত মাসের শেষ দিনে একসঙ্গে দল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন দুই গোষ্ঠীর কর্তারা। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ভাল দলই গড়তে পারেনি সাদার্ন। তাই তাদের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ক্রোমা, কিংসলেরা। উজ্জ্বল ফ্লাড লাইডে ভরা মোহনবাগান গ্যালারির মাঝে প্রথমবার সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে নেমেছিলেন ক্রোমা। আর প্রথমেই নজর কেড়ে নিলেন। দলকে এগিয়ে দিয়ে খেলায় গতি এনে দিলেন ক্রোমাই। ম্যাচের সেরাও হলেন। তবে প্রথম গোলটি পেতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ছেলেদের। প্রথমার্ধে বাগানের ফরোয়ার্ড লাইনকে রুখে দিতে সফল হয়েছিলেন রাকেশ মাশিরা। কিন্তু ধারে ও ভারে অনেকখানি পিছিয়ে থাকা সাদার্নের রক্ষণকে দ্বিতীয়ার্ধে আর তোয়াক্কা করেননি ক্রোমারা। বেড়ে গিয়েছিল জয়ের তাগিদও। আর তাই খেলার গতি বাড়িয়ে তিনবার বিপক্ষের জালে বল জড়ালেন বাগান ফুটবলাররা। আজহার মল্লিকের গোলে জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। ৮৩ মিনিটে কর্নার কিককে কাজে লাগিয়ে সাদার্নের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন শিল্টন ডি সিলভা। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি উপহার পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় সাদার্ন।
[রিয়ালকে জিতিয়েও ১২ ম্যাচ নির্বাসনের মুখে রোনাল্ডো]
জয় দিয়ে লিগ অভিযান শুরু হলে নিঃসন্দেহে তা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধে পরের ম্যাচের আগে তাই চাঙ্গা হয়ে উঠলেন কিংশুক, লিংডোরা। কিন্তু এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি। আর এবারের কলকাতা লিগে পরীক্ষামূলকভাবে নয়, ট্রফি ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়েই খেলবে গঙ্গাপারের ক্লাব। তাই এবারের চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিন। সেই চ্যালেঞ্জের প্রথম ধাপে ভালভাবেই উত্তীর্ণ হল দল।