মোহনবাগান: ১ (ডিকা)
জর্জ টেলিগ্রাফ: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দুটি ম্যাচে দল জিতেছে। তাই উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি মোহনবাগান কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী। কিন্তু রবিবাসরীয় ময়দানেও সবুজ-মেরুনের জয়ের নেপথ্যে রইলেন এক পরিবর্ত ফুটবলারই। এক সময় যখন খেলার চেহারাটা ইস্টবেঙ্গল বনাম রেনবো ম্যাচের মতো হয়ে উঠেছিল, ঠিক তখনই তীর্থঙ্কর সরকারের দুর্দান্ত শটে মাথা ছুঁইয়ে দিলেন ডিকা। পরমুহূর্তেই পালটে গেল মাঠের পরিবেশ।
[লর্ডসে বিরাটদের ম্যাচ চলাকালীন বাউন্ডারির বাইরে এ কাজও করলেন অর্জুন!]
ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান নিজেদের খেলায় পয়েন্ট নষ্ট করায় আট বছর পর কলকাতা লিগ জয়ের আশা উজ্জ্বল হয়েছে গঙ্গাপারের ক্লাবের। এদিন জর্জ টেলিগ্রাফকে মাটি ধরিয়ে সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন ডিকা-কিংসলেরা। দ্বিতীয়ার্ধে গোলমুখ খুললেও প্রথমার্ধের খেলা কিন্তু বেশ হতাশ করল দর্শকদের। উইং সম্পূর্ণ অচল। তার উপর এরিয়াল বল খেলায় মিস পাসও হয় প্রচুর। প্রথমার্ধে ফ্রিকিক থেকে নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই বলার মতো নয়। তাছাড়া শংকরলালের আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত ম্যাচে মাঝমাঠের স্তম্ভ মেহতাব হোসেনই পরিবর্ত হিসেবে নেমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এ ম্যাচেও প্রথম একাদশে রাখা হল না তাঁকে। প্রথমার্ধে সেই রিজার্ভ বেঞ্চই জুটল তাঁর। কেন আজহার, মেহতাবের মতো ফুটবলারদের প্রথমে নামাচ্ছেন না কোচ?
দ্বিতীয়ার্ধে তাঁরা নামতেই খেলা জমাট বাঁধে। আর ৭১ মিনিটে ডিকার হেড থেকে আসে সেই কাঙ্খিত গোল। সবুজ-মেরুন গ্যালারি তখন উচ্ছ্বসিত। চলতি কলকাতা লিগে এই নিয়ে দুটি গোল হয়ে গেল বিদেশি স্ট্রাইকারের। তবে এদিন মাঠের মতো মাঠের বাইরের একটি দৃশ্যও নজর কাড়ল মোহনবাগান ভক্তদের। দর্শকাসনে প্রায় পাশাপাশি বসেই খেলা দেখলেন টুটু বোস এবং অঞ্জন মিত্র। হাজার শত্রুতা সত্ত্বেও দলের জন্য একসঙ্গেই গলা ফাটালেন তাঁরা।
[টিম ইন্ডিয়ার খাবারের মেনুতে গোমাংস কেন? বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়]
তবে পারফরম্যান্স যেমনই হোক, দিনের শেষে তিন পয়েন্টই যে সবচেয়ে জরুরি, তা ভালই জানেন কোচ শংকরলাল। তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ তালিকার শীর্ষে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আর এই জয়ই তাঁদের পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলেই মনে করছেন কোচ।
The post জয়ের ধারা অব্যাহত মোহনবাগানের, জর্জকে হারিয়ে লিগ শীর্ষেই ডিকারা appeared first on Sangbad Pratidin.