দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মঙ্গলবার শোকসংবাদে ঘুম ভাঙল চন্দননগরবাসীর। ঘরের ছেলে তাপস আর নেই। ভাবতেই পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। তাঁর শৈশবের বন্ধুরা। অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের মৃত্যুতে গোটা চন্দননগর আজ শোকাহত।
মঙ্গলবার ভোর রাতে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জনপ্রিয় অভিনেতার মৃত্যু হয়। সকাল সকাল চন্দননগরে তাঁর মৃ্ত্যু সংবাদ এসে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। ভূমিপুত্র তাপস পালের মৃত্যুতে গোটা চন্দননগরজুড়ে বিষাদের সুর। অভিনেতাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চন্দননগরে নানা বিতর্ক দেখা দিলেও আজকের এই শোকের দিনে সমস্ত কিছু ভুলে চন্দননগরবাসী তাদের ঘরের ছেলের প্রয়াণে শোকে মূহ্যমান। এলাকার মানুষের বক্তব্য, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অনেক সময়ই মতের অমিল থাকলেও প্রিয়জনের বিয়োগ সবসময়েই মনে ক্ষতের সৃষ্টি করে। কেউই প্রিয়জনের বিয়োগ চান না। তাই আজকের এই দিনটিতে পাড়ার মোড়ে মোড়ে সকলের মুখে শুধু তাপস পালের কথাই ঘুরছে।
প্রয়াত অভিনেতা সাংসদ তাপস পালের পৈতৃক বাড়ি চন্দননগরের ধারাপাড়ায়। শৈশব থেকে কৈশোর এই বাড়িতেই কেটেছে তাপস পালের। বাবা গজেন্দ্র চন্দ্র পাল ছিলেন এলাকার খ্যাতনামা ডাক্তার। যিনি সবসময়ই দরিদ্রদের পাশে থেকেছেন। বর্তমানে এই পৈতৃক বাড়িতে পরিবারের কেউই থাকেন না। আজকে সেই জনমানবশূণ্য পৈতৃক বাড়িতেও কেমন যেন বিষাদের ছায়া।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষার্থী দেখলেই বাসে তুলে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে, মাধ্যমিক নিয়ে নির্দেশ শুভেন্দুর]
এলাকার বাসিন্দা অমিত মল্লিক জানান, “পাড়ায় একই সঙ্গে আড্ডা দিতাম। কখনও আবার ঝগড়াও হত। তবুও নিজেদের মধ্যে একটা মিলমিশ ছিল আমাদের। ও যে আর নেই, সেটা ভাবতেই পারছি না।” অন্যদিকে ধারাপাড়ার গোবিন্দ ঘোষ বলেন, “আজ সকাল থেকেই তাপসকে নিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আগে প্রত্যেকবছর চন্দনগরের পুজোয় আসত ও। কিন্তু পরে পারিবারিক কিছু ঝামেলার জন্য ৪-৫ বছর হল ও আর আসে না। তাপসের কোনও ফোন নম্বরও নেই আমাদের কাছে যে কারণে ওর সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ও আমাদের ঘরের ছেলে। ভাবতেই পারছি না যে আর কোনও দিন ওর সঙ্গে দেখা হবে না। আর কোনও দিন ও চন্দননগরে পা রাখবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘ওঁর স্থান পূরণ হওয়ার নয়’, তাপস পালের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ প্রসেনজিৎ ]
The post ‘ও আর কোনওদিন এখানে পা রাখবে না’, ঘরের ছেলে তাপসের মৃত্যুতে বিষাদ চন্দননগরে appeared first on Sangbad Pratidin.