সুব্রত বিশ্বাস: রেলের আসন সংরক্ষণ (Reservation) নিয়মকানুনে বড়সড় বদল। ১৪ নভেম্বর, রবিবার থেকে আগামী সাতদিন রাতে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকছে সংরক্ষণের ব্যবস্থা। পূর্ব রেল (Eastern Railway) সূত্রে খবর, রাতে ছ’ঘণ্টা সংরক্ষণ বন্ধ থাকবে। সিস্টেম আপগ্রেডেশনের কাজ হওয়ায় সংরক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা যাবে না। এতে সাধারণ যাত্রীরা খানিকটা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা।
জানা গিয়েছে, কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতির জন্য ট্রেনের নম্বর বদল হয়েছিল। ‘স্পেশ্যাল’ ট্রেন চলাচল শুরু করায় সব ট্রেনের সংখ্যা শূন্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। সেসব পুরনো নম্বরে ফিরে যাচ্ছে। এছাড়া কারেন্ট প্যাসেঞ্জার বুকিং ডেট প্রভৃতি নতুন করে চালু করতে সিস্টেমের পরিবর্তন করা হবে। এর জন্য ১৪ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই সমস্যা থাকবে। রাত সাড়ে এগারোটা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে ১৩৯ এনকোয়ারি নম্বর কার্যকর থাকবে ওই সময়ে, এমনই জানিয়েছে পূর্ব রেল।
[আরও পড়ুন: সিবিআই-ইডির শীর্ষ কর্তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ বছর করল মোদি সরকার, জারি অর্ডিন্যান্স]
অন্যদিকে, করোনা (Coronavirus) পরবর্তী আবহে চালু হওয়া দূরপাল্লার ট্রেন থেকে ‘স্পেশ্যাল’-এর তকমা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে অসংরক্ষিত কামরাকে সংরক্ষিত করে চালানোর যে সিদ্ধান্ত, তার কী হবে? এখনও এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সেই প্রথা বজায় রাখল রেল। ফলে অসংরক্ষিত টিকিট নিয়ে এখনও কেউ দূরপাল্লার ট্রেনে চড়তে পারবেন না। যা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বহু মানুষকে জরুরি প্রয়োজনে হঠাৎ করে দূরপাল্লার ট্রেনে চড়তে হয়। তাঁরা সেই সুবিধা এখনও পাবেন না।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল প্রার্থীদের দেখলেই তাড়া কর’, ত্রিপুরার দলীয় কর্মিসভায় হুমকি বিজেপি বিধায়কের]
রেলের নয়া সিদ্ধান্তে রেলের কর্মচারী সংগঠন মেনস ইউনিয়নের পূর্ব রেলের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য ট্রেন। যদি তাঁরাই চড়তে না পারেন তবে গণ পরিষেবা কোথায়? এক সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কথায়, অসংরক্ষিত কামরায় ২৫০ জন যাত্রী চড়েন। সেই কামরা সংরক্ষিত করলে ৯০ জন চড়ার সুযোগ পান। ফলে দু’ক্ষেত্রে প্রায় একই আয় হয়। একদিকে আয়ের ঘাটতি না ঘটিয়ে অন্য দিকে কোভিড বিধি মানা হয়ে যাচ্ছে এই পদ্ধতিকে হাতিয়ার করে। তবে এই বিষয়টাকে দীর্ঘ করা সম্ভব নয় বলেও তাঁরা মনে করেছেন। একসঙ্গে সব সুবিধা চালু করলে ভিড় বাড়বে ট্রেনে। কোভিড বাড়লে সমালোচনা শুরু হবে রেলের বিরুদ্ধে। ফলে পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে রেল ধীর গতিতে চলতে চাইছে। অসংরক্ষিত কামরা চালু হবে নিশ্চিত বলে তাঁরা জানান।