সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণ ঠেকাতে কতই না কড়াকড়ি। লকডাউনের চতুর্থ পর্বে কেন্দ্র নিয়মের রাশ আলগা করলেও কঠোর হাতে সেই রাশ ধরতে চান ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিন মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন রাজ্যের জেলাগুলিতে। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জমায়েতেও।
ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ। কোথায় এর শেষ তা কেউ জানে না। কীভাবে এই মারণ ভাইরাসকে দমন করা যাবে সেই উত্তরও লুকিয়ে আঁধারে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও নিয়মের বেড়াজালে রাজ্যবাসীকে বাঁধতে দোষ কোথায়? সেই মত চতুর্থ দফার লকডাউনের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার থেকেই রাজ্য স্বরাষ্ট্র বিভাগ এই নিয়ম লাগু করে। রবিবার সন্ধেতেই রাজ্যের জেলাগুলিতে তিন মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশিকা পাঠানো হয়। রাজ্যের ১৮ জন জেলা কালেক্টারের কাছে সেই নির্দেশিকা পৌছে দেওয়া হয়। বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের পরিস্থিতি। তবে কোনও মতেই সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি ঘটুক এমনটা চান না মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রবিভাগের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, “রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ও জেলা কালেক্টারদের সঙ্গে আলোচনার পর ১৪৪ ধারা বজায় রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ফলে পরবর্তী তিন মাসের জন্য রাজ্যে যে কোনও জমায়েতকে এড়ানো যাবে। ও সংক্রমণের মাত্রাকেও কাবু করা যাবে।”
[আরও পড়ুন:অবশেষে স্বস্তি! ঘোষিত হল CBSE`র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষার সূচি]
সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী এমনিতেই ৩১ মে পর্যন্ত রেস্তঁরা, ক্লাব, হোটেলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্টেডিয়াম বা খেলার মাঠগুলিও বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। এই নির্দেশিকা গাতে পাওয়া মাত্রই রায়পুরের জেলা কালেক্টার এস ভারতী দাশান রবিবার রাতেই জেলায় এই নিয়ম লাগু করে দেন। পরবর্তী নির্দেশ না মেলা অবধি রাজ্যে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত ভারতীয় দন্ডবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কেউ এই আইনের অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় ছত্তিশগড়ে সংক্রমণের মাত্রা কম বলে দাবি করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক। রবিবার ২৫ জনের শরীরে নতুন করে ধরা পড়েছে করোনার সংক্রমণ। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
[আরও পড়ুন:শিক্ষা দিয়েছে করোনা, অভাবের তাড়নায় সিএবি’র আম্পায়ার এখন সবজি বিক্রেতা]
The post সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া নিয়ম, ছত্তিশগড়ের জেলাগুলিতে ১৪৪ ধারার মেয়াদ বৃদ্ধি appeared first on Sangbad Pratidin.