সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংস খুনের ঘটনা উঠে এল শিরোনামে। এবার ঘটনাস্থল চেন্নাই। প্রেমিককে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে মাটির নিচে পুঁতে দিল পুরনো প্রেমিকা। যে পেশায় যৌনকর্মী। ঘটনার কথা সামনে আসতেই শিউরে উঠছে গোটা শহর।
একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃত এম জেয়ান্থন ছিলেন ভিলুপুরমের বাসিন্দা। ২৯ বছরের ওই যুবক প্রেমে পড়েন বছর আটত্রিশের ভাগ্যলক্ষ্মী নামের এক মহিলার। ২০২০ সালে প্রথমবার দেখা হয়েছিল তাঁদের। তারপরই গভীর হয় সম্পর্ক। পরিবারের কাছে লুকিয়েই নাকি দু’জনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরের বছরই সম্পর্কে ছেদ পড়ে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ‘ওর কাশি আর বমি নিয়ে ঠাট্টা করতাম, বুঝিইনি ক্যানসারে ভুগছে’, যুবরাজের লড়াই নিয়ে স্মৃতিচারণ ভাজ্জির]
বিমান সংস্থার কর্মী জেয়ান্থন ক’দিনের জন্য ছুটি নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর বোনের। খবর দেন পুলিশে।
তদন্তে নেমে যুবকের ফোন থেকে ভাগ্যলক্ষ্মীর ফোন রেকর্ড ট্র্যাক করে ঘটনার জট কাটাতে শুরু করে পুলিশ। জানতে পারে, ফোনে জেয়ান্থনকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিল ভাগ্যলকক্ষ্মী। সেখানেই বচসায় জড়ায় তারা। এরপরই বন্ধু শংকরকে সঙ্গে নিয়ে জেয়ান্থনকে খুন করে ভাগ্যলক্ষ্মী। তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এক এলাকায় গিয়ে দেহাংশ মাটিতে পুঁতে দেয়। এক পুরোহিতও এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন। ইতিমধ্যেই ভাগ্যলক্ষ্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, জেয়ান্থনের থেকে টাকা চেয়েছিল ওই যৌনকর্মী। তা দিতে রাজি না হওয়াতেই প্রাণ হারালেন জেয়ান্থন।