সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে তিন তালাক (Triple Talaq) বিরোধী আইন পাশ হয়েছে। এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এর পরেও যে তিন তালাক প্রথা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি তা প্রকাশ্যে এল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarhi) একটি ঘটনায়। সেখানে তরুণীকে ফোনেই তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ছত্তিশগড়ের জশপুরের কুনকুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ইসতিয়াক আলমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। একটা সময়ের পর থেকেই সন্তান না হওয়ার ‘অপরাধে’ তরুণীর ওপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে ইসতিয়াক ও তাঁর বাবা। মাঝে ছত্তিশগড়ে বাপের বাড়িতে আসেন তরুণী। কিছুদিন আগে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে চাইলে ক্ষেপে ওঠেন স্বামী। তরুণীর অভিযোগ, ফোনেই তাঁকে তিন তালাক দেয় স্বামী। এরপরেই কুনকুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘নীতিহীন দল’, বিজেপিতে যোগ দিয়েই কংগ্রেসকে তোপ সুনীল জাখরের]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই তরুণীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল স্বামী। এমনকী সে ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেছে। কুনকুরি থানার এসএইচও বলেন, “তরুণী অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বামী ফোন তিল তালাক দিয়েছে। আমরা একটি মামলা দায়ের করেছি। শীঘ্রই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২২ অগস্ট তিন বার ‘তালাক’ শব্দে বিবাহ বিচ্ছেদ রীতিকে অসংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। স্বামী পরিত্যক্তা পাঁচ মুসলিম মহিলার করা আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: মাথা ফুঁড়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীর গুলিতে, ৬ বছরের সেই শিশুর অঙ্গই প্রাণ বাঁচাল পাঁচজনের]
সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণার পর তিন তালাক প্রদানকারী মুসলিম স্বামীদের শাস্তি দিতে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্র। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে সেই অর্ডিন্যান্স শেষ পর্যন্ত আইন হিসেবে পাশ হয়। যার জেরে দোষী স্বামীদের জামিন অযোগ্য তিন বছরের সাজার বিধান উল্লেখ রয়েছে। এই আইনে নির্যাতিতার তরফে তাঁর কোনও আত্মীয়ও অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেন।