সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সুপ্রিম কোর্টে। কড়া বাক্য বিনিময় হল প্রবীণ আইনজীবী তথা শীর্ষ আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আদিশ অগরওয়াল এবং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মধ্যে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ড মামলায় SBI-কে তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধারাবাহিকভাবে তা প্রকাশ্যেও আসছে। বিচারপতির বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি করেন বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট।
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি একজন প্রবীণ আইনজীবী ছাড়াও SCBA-এর সভাপতি। আপনি আমার বিশেষ ক্ষমতার ব্যবহারের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। গোটা বিষয়টি প্রচার সর্বস্ব। আমরা এর মধ্যে ঢুকব না। আমাকে এর বেশি বলতে বাধ্য করবেন না। তা সকলের জন্যই অস্বস্তিকর হতে পারে।’ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাও SCBA-এর সভাপতির সঙ্গে একমত হননি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টিকে সমর্থন করি না।’
[আরও পড়ুন: দুধ সাপ্লায়ার থেকে প্রোমোটার! রকেট গতিতে উত্থান গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত ওয়াসিমের]
এর আগে ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছিলেন আদিশ অগরওয়াল। সেখানে রায় কার্যকর হওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চান তিনি। পুনরায় শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রায় যাতে কার্যকর না হয়, সেই অনুরোধও করেছিলেন। যদিও তাতে কাজ হয়নি। প্রকাশ্যে এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির বিপুল আয়। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে ধনী রাজনৈতিক দল শাসক বিজেপি। অনেকটা পিছনে কংগ্রেস এবং তৃণমূল।