সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশু পাচারকাণ্ডে বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা ও নেত্রী জড়ালেন। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, আগামী ২৭ ও ২৯ জুলাই দু’জনকে ভবানী ভবনে হাজির হতে হবে। পাচার চক্রে উত্তরবঙ্গে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে সিআইডি জালে তুলেছিল। জুহিকে জেরা করে দু’জনের নাম পাওয়া যায়। তবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব আইনি পথে এর মোকাবিলা করতে চায়।
[আবাস যোজনা দুর্নীতিতে জড়ালেন শমীক, বিজেপি নেতাকে তলব সিআইডির]
শিশু পাচার চক্রের তদন্তে জলপাইগুড়ির বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে জালে তুলেছিল সিআইডি। জুহিকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি বুঝেছিল চক্রের এটা শুধু হিমশৈল। এর জাল দিল্লি পর্যন্ত ছড়িয়ে। সূত্রের খবর, ওই বিজেপি নেত্রীর মোবাইল কল লিস্ট পরীক্ষা করে বিজেপির এক সর্বভারতীয় নেতা ও এক সাংসদের নাম জানতে পারে সিআইডি। চক্রের সঙ্গে নাম জড়ায় কেন্দ্রীয় এক কারা আধিকারিকের। তদন্তকারীদের দাবি আধিকারিক এবং নেতা-নেত্রীদের ব্যবহার করে জলপাইগুড়ি হোমের যাবতীয় বেনিয়ম চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই নেত্রীকে জেরার পর বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম সিআইডি অফিসাররা জানতে পারেন। এরপরই দু’জনেক জিজ্ঞাসাবাদের তোড়জোড় শুরু হয়। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার তাঁদের তলব করা হয়। আগামী ২৭ ও ২৯ জুলাই রূপা ও কৈলাসকে ভবানী ভবনে যেতে হবে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দুই বিজেপি নেতাকেও সিআইডি ওই দিন তলব করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হলেও রূপা বা কৈলাস ভবানী ভবনে যাবেন কিনা তা জানা যায়নি। এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের প্রতিহিংসা দেখছে বিজেপি। দলের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দুই নেতা-নেত্রীর নামে কোনও প্রমাণ পায়নি সিআইডি। তবুও তাদের ডাকা হয়েছে। আইনি পথে এর মোকাবিলা করা হবে।
[ফের হিন্দির বিরুদ্ধে সরব কর্নাটক, মেট্রো স্টেশন থেকে মোছা হল নাম]
শিশু পাচার চক্রের তদন্তের শুরু থেকে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতা, নেত্রীরা তদন্তকারীদের নিশানায় ছিলেন। জুহির পাশে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সিআইডির তদন্তর সময় জুহির অজ্ঞাতবাস নিয়ে দিলীপ জানিয়েছিলেন লুকিয়ে ঠিকই করেছেন জুহি। এক ধাপ এগিয়ে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন জুহি চক্রান্তের শিকার। জুহির প্রতি দলের শীর্ষ নেতৃত্বর এই মনোভাবই সিআইডি খতিয়ে দেখছে। তার জন্য এই তলব বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।