সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ কি গলছে? নতুন করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কি বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে? চিনের নতুন এক পদক্ষেপে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত।
গত তিন দশকের নীতি ভেঙেছে বেজিং। প্রায় তিরিশ বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে শি জিনপিংয়ের দেশ। তাঁদের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একের পর এক ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। এমন আবহে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা।
[আরও পড়ুন : মাস্ক না পরলে অভিনব ‘শাস্তি’র নির্দেশ গুজরাট হাই কোর্টের, করতে হবে এই কাজগুলি]
বিশ্বের চালের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ ভারত (India)। উলটোদিকে সবচেয়ে বেশি চাল কেনে চিন (China)। বছরে প্রায় ৪ মিলিয়ন টন। অথচ গত তিন দশক ধরে দুদেশের মধ্যে চাল কেনা-বেচা হত না। বেজিংয়ের ভারতের চালের (Rice) গুণগতমান নিয়ে আপত্তি ছিল। এবার সেই নীতিতে ছেদ পড়ল। ব্যবসায়িক মহল সূত্রে খবর, চিন যে সমস্ত দেশ থেকে চাল আমদানি করে, তাঁরা এবার রপ্তানির উপর লাগাম চেনেছে। উপরন্তু তাঁদের চেয়ে বেশকিছুটা কম দরেই চাল বিক্রি করছে ভারত। আর এই দুই কারণেই ফের বারত থেকে চাল কিনছে চিন।
এ প্রসঙ্গে চাল রপ্তানি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বি ভি কৃষ্ণা রাও জানান, এই প্রথমবার ভারতের কাছ থেকে চাল কিনছে চিন। ভারতীয় শস্যের গুণগতমান দেখে আগামী বছর অর্ডারের পরিমাণ বাড়াতে পারে চিন।” উল্লেখ্য, ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ১ লক্ষ টন চাল কিনবে চিন। প্রতি টনের দাম ২২ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় আরও তীব্র কৃষকদের বিক্ষোভ, দ্রুত সংসদের অধিবেশনের দাবি কংগ্রেসের]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডোকলাম-পূর্ব লাদাখ (Eastern Ladakh) নিয়ে ভার-চিনের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বহু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এমনকী, ভারতে চিনার সংস্থার বিনিয়োগের উপর কড়া নিয়ম আরোপ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ভারতের বাজারে মুখ থুবড়ে পড়ছে চিনা সংস্থাগুলি। এমন আবহে ভারত থেকে চাল আমদানিতে চিনের সিলমোহড় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।