সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস তিন আগেই জানা গিয়েছিল, বেআইনিভাবে দখল করে রাখা আকসাই চিন (Aksai Chin) এলাকায় রেললাইন বানাচ্ছে চিন (China)। তখনই বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, আগামী দিনে বেজিংয়ের বৃহত্তর যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে এই পদক্ষেপ। এবার আকসাই চিনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে লাল ফৌজের তৎপরতার কথা উঠে এল ব্রিটিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসের রিপোর্টেও। যা ভারতের উদ্বেগ বাড়াতে যথেষ্ট।
গত ছ’মাসের স্যাটেলাইট তথ্যের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে চ্যাথাম হাউস। সেখানে বলা হয়েছে, চিনের সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মিকে যাবতীয় সুবিধা দিতে আকসাই চিনে জোরদকমে নির্মাণকাজ শুরু করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। ২০২২-এর অক্টোবর থেকে তৎপরতা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। এলাকায় বেশ কয়েকটি রাস্তা, ফাঁড়ি ও সেনা আউটপোস্ট তৈরি করে ফেলেছে চিন। যাতে করে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সহজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যায়।
[আরও পড়ুন: ১০ জুলাই পর্যন্ত সরকারি ফ্যাক্ট চেকিং নয়, কমেডিয়ান কুণাল কামরার আবেদনে সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের]
ব্রিটিশ রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিতর্কিত আকসাই চিনে একটি হেলিপোর্ট, ১৮টি হ্যাঙ্গার এবং ছোট রানওয়ে তৈরি করছে চিন। যাতে করে জরুরি পরিস্থিতিতে ড্রোন, কপ্টার ও ফাইটার জেট ওটা-নামা করতে পারে। এছাড়াও একাধিক প্রশস্ত রাস্তা, ফাঁড়ি, পার্কিং এবং সোলার প্যানেলের সুবিধাযুক্ত আধুনিক সেনা ক্যাম্পও তৈরি করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত চিনা তৎপরতা নিয়ে কোনও রকম মন্তব্য করেন নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: এবার ৪ বছরের স্নাতক পাঠক্রম কেরলে, ঘুরিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নিল বামেরাও!]
প্রসঙ্গত, গত ফ্রেব্রুয়ারিতে জানা গিয়েছিল, তিব্বত প্রশাসনকে আকসাই চিনে রেললাইন নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। LAC’র খুব কাছ দিয়ে ওই লাইনটি আগাগোড়া আকসাই চিনের উপর দিয়ে যাবে। ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন করে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার লাইন পাততে চাইছে তিব্বত প্রশাসন।