সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona) আতঙ্কে চিনা শহরে কার্যত ‘গৃহবন্দি’ ৯০ লক্ষ মানুষ। সংক্রমণ রুখতে যানবহনের চলাচল থেকে শুরু করে ভ্রমণের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, আবার কি ফিরছে দুনিয়া কাঁপানো সেই দিনগুলি?
[আরও পড়ুন: আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে রাশিয়া! ইউক্রেনে কিন্ডারগার্টেনের পাশেই আছড়ে পড়ল বোমা]
২০১৯ সালের গোড়ার দিকে চিনের ইউহান শহরে প্রথম দেখা মেলে করোনা ভাইরাসের। তারপরই দ্রুত সেই আণুবীক্ষণিক জীব ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। আমেরিকা ও ইটালির মতো দেশগুলিতে মৃত্যু হয় কয়েক লক্ষ মানুষের। তবে করোনার উৎস হলেও দ্রুত সংক্রমণ রুখতে সক্ষম হয় চিন (China)। বাকি দেশগুলির তুলনায় চিনে মৃতের সংখ্যাও যথেষ্ট কম ছিল। সবমিলিয়ে সংক্রমণে রাশ টেনে আবারও স্বাভাবিক জীবনের দিকেই ফিরছিল কমিউনিস্ট দেশটি। কিন্তু এবার উদ্বেগ বাড়িয়ে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের আবির্ভাব ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্ব চিনের চাংচুনে। সংক্রমণ যাতে দেশের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে না পড়ে তাই শুক্রবার আগেভাগেই ওই শহরের ৯০ লক্ষ মানুষকে ‘ঘরবন্দি’ করল চিন প্রশাসন। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারি করা হয়েছে চাংচুন শহরে। এটি একটি শিল্পশহর। সংবাদ সংস্থা এপি-র প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে এক নির্দেশিকা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানে বলা হয়েছে, পরিবারের এক জন সদস্য ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বেরোতে পারবেন না। সমস্ত শহরবাসীকে তিন ধাপে শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত কিছু বন্ধ রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনাম ও চিন সীমান্তে অবস্থিত একটি শহরে লকডাউন ঘোষণা করে বেজিং। দক্ষিণ গুয়াংসি প্রদেশের বাইসে নামের ওই শহরে বাস করেন অন্তত ৩৫ লক্ষ মানুষ। সেখানে ৭০জন মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যেতেই বিধিনিষেধ জারি করেছিল প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই শিথিল করা হয় বলে খবর। এহেন পরিস্থিতিতে চাংচুনে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে শি জিনপিং প্রশাসন রীতিমতো উদ্বিগ্ন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।