সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির। সদ্যই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। এবার এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমাও খোয়াতে হল রিলায়েন্স কর্তাকে। তাঁকে পিছনে ফেলে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠলেন চিনের ঝং শানশান (Zhong Shanshan)।
এই ব্যবসায়ী এখন বিশ্বের একাদশতম ধনী ব্যক্তি। সাংবাদিকতা, মাশরুম চাষ ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সফল কেরিয়ারের পর টিকা প্রস্তুতকারী ফার্ম ও জলের বোতল তৈরি করে তিনি এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। শুধুমাত্র মুকেশ আম্বানি নয়, চিনের জ্যাক মা-কেও পিছনে ফেলেছেন ঝং। তাঁর মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭৭.৮ বিলিয়ন ডলার। ঝং শানশানের বয়স ৬৬। চিনের বাইরে এতদিন তেমনভাবে তিনি পরিচিত ছিলেন না। রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না। বা কোনও ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের ছত্রছায়ায়ও ছিলেন না। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘লোন উল্ফ’ নামে পরিচিত ছিলেন। টিকা প্রস্তুতকারী ফার্ম ও জলের বোতল এই দু’টি ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তাঁকে সাফল্য এনে দেয়। চলতি বছরের এপ্রিলে বেজিং ওয়ানটাই বায়োলজিক্যাল নামে একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শেয়ার বাজারে নিয়ে আসেন। তার কয়েকমাস পর হংকংয়ের বাজারে আনেন জলের বোতল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নোংফু স্প্রিংকে। নোংফু স্প্রিং আসার পর শেয়ার বেড়েছে ১৫৫ শতাংশ। আর, বেজিং ওয়ানটাইয়ের শেয়ার বেড়েছে ২ হাজার শতাংশের বেশি।
[আরও পড়ুন: সে কী! যোগীর রাজ্যেই পঞ্চায়েত প্রধান একজন পাকিস্তানি মহিলা, অবাক প্রশাসনও]
এদিকে, মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) আবার আমাজনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন। গত আগস্টে ২৪,৭১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে ‘ফিউচার গ্রুপে’র খুচরো ও পাইকারি ব্যবসা এবং লজিস্টিক্স ও ওয়্যারহাউজিং ব্যবসা কিনে নিয়েছিল রিলায়েন্স। এই চুক্তির বিরোধিতা করেছে আমাজন। তাদের বক্তব্য ছিল, ২০১৯ সালেই ওই সংস্থার অধীনস্থ ‘ফিউচার কুপনসে’ প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে তারা। এই অবস্থায় ‘ফিউচার গ্রুপ’ তাদের সব সম্পত্তি অন্য কাউকে বেচে দিতে পারে না। এই বিতর্ক ও প্রতিবাদের ধাক্কাতেই কমে গিয়েছে আম্বানির সংস্থার শেয়ার দর। যার জেরে ক্রমশ কমছে তাঁর সম্পত্তি।