সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোনের বিয়েতে গিয়েছিলেন। চুটিয়ে আনন্দ করেছেন। তার পরই ঘর থেকে উদ্ধার ভোজপুরী অভিনেত্রী অমৃতা পাণ্ডের(Amrita Pandey) দেহ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই খবর জানা গিয়েছে। বিহারের ভাগলপুর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিনেত্রীর WhatsApp স্ট্যাটাস ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য।
ভোজপুরী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অমৃতা। তাঁর আরেক নাম অন্নপূর্ণা। তবে অমৃতা নামেই বেশি পরিচিতি পেয়েছেন। ভোজপুরী স্টার খেসরিলাল যাদবের সঙ্গে 'দিওয়ানাপন' সিনেমায় দেখা গিয়েছিল অমৃতাকে। তারপর একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ঝুলিতে ওয়েব সিরিজও রয়েছে। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে স্বামী চন্দ্রমণি ঝঙ্গাড়ের সঙ্গে থাকতেন অমৃতা। চন্দ্রমণি পেশায় অ্যানিমেশন ইঞ্জিনিয়ার।
[আরও পড়ুন: অনির্বাণের সঙ্গে ডিভোর্স? মুখ খুললেন অভিনেতার স্ত্রী মধুরিমা ]
বোনের বিয়ের জন্যই চন্দ্রমণির সঙ্গে বিহারে গিয়েছিলেন অমৃতা। বিয়ের পর চন্দ্রমণি কাজের জন্য মুম্বই ফিরে যান। অমৃতা বিহারেই থেকে যান। তার পর ঘটে এই ঘটনা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় পুলিশ। শোনা গিয়েছে, অমৃতার দেহ ঘরের বিছানায় শায়িত অবস্থায় তাঁরা দেখতে পান। অভিনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়, বোনের বিয়েতে বেশ হাসিখুশি ছিলেন অমৃতা। কিন্তু বিগত কয়েক মাসে কাজ নিয়ে প্রবল চিন্তিত ছিলেন তিনি। মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। চিকিৎসা চলছিল অভিনেত্রীর।
শোনা গিয়েছে, শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় অমৃতার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যরা ফাঁস কেটে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক জানান, অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দেহ আবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে রহস্য ঘণীভূত হয়েছে অমৃতার শেষ WhatsApp পোস্ট ঘিরে। তাতে লেখা ছিল, "দুই নৌকায় সওয়ার ছিল ওর জীবন, আমি নিজের নৌকা ডুবিয়ে রাস্তা সহজ করে দিলাম।" তাহলে কি সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনই অমৃতার অবসাদের কারণ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘দিদি নম্বর ১’ থেকে শাড়ির ব্যবসা, কত কোটির সম্পত্তি? হলফনামা দিলেন রচনা]