সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার বক্স অফিসে বিজয়রথ ছোটানোর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুক্তি পেয়েছে 'বহুরূপী' (Bohurupi)। দর্শক, সিনেসমালোচকদের কলমে বসানো ঝকঝকে মার্কশিট নিয়ে এবার কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছতে চলেছে নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ছবি। ডিসেম্বরেই পদ্মাপারের শীতকালীন প্রেক্ষাগৃহে পা দেওয়ার কথা 'বহুরূপী'র। তবে 'লালফিতে'র গেরোয় আটকে রিলিজের দিনক্ষণে এখনও সিলমোহর পড়ছে না। সেই প্রেক্ষিতেই ইউনুস সরকারের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর কাছে বিশেষ আর্জি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের।
সাফটা চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে যে দুটি সিনেমা। বাংলাদেশে মুক্তি পাবে, তার মধ্যে 'পুষ্পা ২' ছবির পাশাপাশি 'বহুরূপী'ও রয়েছে। এপ্রসঙ্গে শিবপ্রসাদ বললেন, "বাংলার জন্য এটা খুবই গর্বের। এবং ওপ্রান্ত থেকে আমাদের সিনেমা 'বহুরূপী'র সঙ্গে আদানপ্রদানে যে ছবিটি দেখানো হবে সেটি রায়হান রফি পরিচালিত 'দামাল'। ছবির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। সাগরভাই ও চ্যানেল আই-এর সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, আমাদের সিনেমার সাফল্যের প্রথম স্মারক সাগর ভাইই আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। আমরা ভীষণ উদগ্রীব হয়ে আছি যে 'বহুরূপী' কবে ওপার বাংলায় দেখানো হবে। ওপার বাংলার বহু মানুষও প্রতীক্ষায় রয়েছেন। 'বহুরূপী'র যে আর্ট ফর্ম, প্রথা, সেই সংস্কৃতি বাংলাদেশের মানুষেরও জানা উচিত। যে পরিমণ্ডলে দুই বাংলা বড় হয়েছে। তবে তার মধ্যেও একটি দুঃখের জায়গা রয়েছে, আমরা লালফিতের গেরোয় একটু আটকে, অপেক্ষা করছি কবে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সিলমোহর পাব বাংলাদেশে 'বহুরূপী' রিলিজের দিনক্ষণ নিয়ে।"
এরপরই শিবপ্রসাদের সংযোজন, "বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মন্ত্রকে যে মানুষটি রয়েছেন মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী সাহেব। আমি ওঁর সিনেমার খুব ভক্ত। উনি অন্তর্জাতিক সিনেমার সঙ্গেও যুক্ত। আমার ধারণা উনি পরিচালক-প্রযোজকের মনের কথা, সিনেমাপ্রেমীর মানুষের কথা বুঝবেন। দুই দেশের মধ্যে সিনেমার আদান-প্রদান যাতে দীর্ঘ হয়, সেটাই চাইব।"