সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোল উপলক্ষে সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন হেমা মালিনী (Hema Malini)। বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। জগন্নাথভূমে মথুরার বিজেপি সাংসদের পুজো দেওয়ার বিষয়টিকে মোটেই ভালো নজরে নেননি 'জগন্নাথ সেনা দল' নামে এক ধর্মীয় সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, পুরীর মন্দিরে হেমা মালিনীর প্রবেশ নিয়ম বহির্ভূত। সেই অভিযোগ তুলেই সাংসদ-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করল সংশ্লিষ্ট সংগঠন।

দোল পূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে পদ্মশিবিরের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের সঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন হেমা। আর সেই খবর চাউর হতেই জগন্নাথ সেনা দল আপত্তি তোলে। সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সংগঠনের দাবি, পুরী মন্দিরের নিয়ম ভেঙেছেন হেমা মালিনী। কোন নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠল বিজেপি সাংসদ তথা বলিউডের 'ড্রিম গার্ল'-এর বিরুদ্ধে? জগন্নাথ সেনা দলের দাবি, ১৯৭৯ সালের আগস্ট মাসে ফয়জাবাদে এক মসজিদে গিয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা। কারণ অভিনেতার তখনও প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। আর হিন্দু ধর্মে প্রথমা স্ত্রীর সঙ্গে আইনি মতে বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কাউকে বিয়ে করার নিয়ম নেই। সেই জন্যই নাকি সেবছরের ২১ আগস্ট ফয়জাবাদের এক মসজিদে গিয়ে তাঁরা ধর্ম পরিবর্তন করেন। সেই অতীত প্রসঙ্গ টেনেই হেমা মালিনীর (Hema Malini) বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মকে অপমানের অভিযোগ এনেছে জগন্নাথ সেনা দল। তাঁদের মত, মথুরার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ মন্দিরের নিয়মভঙ্গ করে হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবাগে আঘাত হেনেছেন। যে অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে জগন্নাথভূমের ওই ধর্মীয় সংগঠন।
শোনা যায়, হেমা মালিনীকে বিয়ে করার জন্য নাকি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজেদের নামও বদলে ফেলেছেন ধর্মেন্দ্র। অভিনেতার নাম বদলে হয় দিলওয়ার খান কেওয়াল কৃষ্ণ। অন্যদিকে হেমার নামকরণ হয় আয়েষা বি আর চক্রবর্তী। ধর্ম পরিবর্তনের পরের বছর ১৯৮০ সালে নিকাহ্ করেন। যদিও রাজনীতির ময়দানে পা রাখার সময়ে ধর্মেন্দ্রকে সেই অতীত নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি বিরোধী শিবিরের তরফে। প্রবীণ অভিনেতা নিজেও অস্বীকার করেছিলেন তাঁদের ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা। কয়েক দশক আগের সেই ঘটনা নিয়েই হেমার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠল জগন্নাথ সেনা দল।