সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারদোৎসবের আমেজ বাংলা ছাড়িয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আরব সাগরের তীরে স্বপ্ননগরী মুম্বইতেও। বাঙালি বলিউড সেলেব ব্রিগেডও সেই আনন্দে মেতেছেন। উমা আরাধনায় মেতেছেন কাজল-রানি মুখোপাধ্যায় থেকে গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যও। লোখন্ডওয়ালায় অভিজিতের পুজো মানেই মুম্বইয়ের প্রবাসী বাঙালিদের পুজোর সেরা গন্তব্য।
গায়কের পুজো এবার ২৯ বছরে পড়ল। অভিজিৎ ভট্টাচার্য বরাবরই দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে থিমে বিশ্বাসী নন। বরাবর তাঁর মণ্ডপে প্রাধান্য পায় ঐতিহ্যের সঙ্গে আভিজাত্যের মিশেল। মুম্বই আর মুম্বইয়ের মানুষদের কাছে লোখন্ডওয়ালার এই পুজো বেঞ্চমার্ক হয়ে গিয়েছে। সেই ধারায় বজায় রাখাতেই বিশ্বাসী তিনি। চাঁদা নিয়ে পুজো করাতেও বিশ্বাসী নন অভিজিৎ। পঞ্চমীর দিনই পুজো উদ্বোধন করে ফেলেছেন অভিজিৎ। এদিন থেকেই তাঁর মণ্ডপে দেবী উমার মুখদর্শন করার সুযোগ পাচ্ছেন আগত পুণ্যার্থীরা। মণ্ডপে ঢাক বাজিয়ে পুণ্যার্থীদের মনোরঞ্জন করতেও দেখা গেল খোদ পুরোধা অভিজিৎকে।
মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে অভিজিতের দুর্গাপুজোর নাম 'লোখন্ডওয়ালা দুর্গোৎসব। ৭ দিন ধরে এই পুজো চলে। এখানে দশমীতে মূর্তি বিসর্জন হয় না। তার বদলে ভোগের জন্য সেদিন তৈরি হয় স্পেশ্যাল মেনু। খিচুড়ির বদলে সেদিন দর্শনার্থীদের দেওয়া হয় পোলাও। অভিজিৎ ভট্টাচার্যের পুজোয় দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন হয় একাদশীতে। কলকাতার মৃৎশিল্পীরাই এখানকার প্রতিমা তৈরি করেন। বেশ বছর খানেক সেই দায়িত্বে থেকেছেন শিল্পী অমিত পাল। ফি বছর ঢাকিরা আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে। ৪০ জন ঢাকি আসেন। অভিজিৎ ভট্টাচার্যের 'লোখন্ডওয়ালা দুর্গোৎসবে'র মূল আকর্ষণ থাকে এই ঢাকিদের পারফরম্যান্স।