সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি স্বঘোষিত বলিউডের 'ক্যুইন'। মুম্বইয়ে এসে হিমাচলীকন্যা একার দাপটে নিজের সিংহাসন তৈরি করেছেন। বহুবার জুটেছে ঘর ভাঙানি তকমা। সঙ্গী হয়েছে বহু বিতর্ক। তবু দমে থাকেননি। বলিউডের প্রতিষ্ঠিত 'স্টার সাম্রাজ্য'কে বারবার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। আবার রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করে কঙ্গনা রানাউত বুঝিয়ে দিয়েছেন, পর্দার বাইরেও তিনি 'মণিকর্নিকা'। মাণ্ডির সাংসদ পদপ্রাপ্তি হতেই ঝেড়ে ফেলেন বলিউড ক্যুইনের পোশাক। হাবেভাবে বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, অন্যায় হলে চুপ থাকা কিংবা দমে যাওয়ার পাত্রী তিনি নন। এবার বাড়ির ১ লক্ষ ইলেকট্রিক বিল নিয়ে হিমাচলের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত সাংসদ-অভিনেত্রী।

চব্বিশের লোকসভা ভোটে জিতে মাণ্ডির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন কঙ্গনা। তার পর থেকেই বলিউডের লাইমলাইট থেকে শত হস্ত দূরে সংসদীয় এলাকায় সময় কাটান অভিনেত্রী। সম্প্রতি মানালিতে এক নতুন রেস্তরাঁও খুলেছেন। বরাবরই নিজের কর্মকাণ্ড কিংবা বেফাঁস মন্তব্যের জেরে চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেন কঙ্গনা রানাউত। এবার হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দাগলেন অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল নিয়ে। জানা গেল, সাংসদ নায়িকা বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও ১ লক্ষ টাকা বিল এসেছে। আর তাতেই চটে লাল কঙ্গনা। সম্প্রতি মাণ্ডির এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না তিনি। নেকড়ে' বলেও কটাক্ষ করলেন কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনার মন্তব্য, "এই মাসে আমার মানালির বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না। কতটা দুর্দশা দেখুন। আমি এগুলো পড়ি আর লজ্জা পাই এটা ভেবে যে কী চলছে হিমাচলে। কিন্তু আমাদের কাছে তো একটা উপায় রয়েছে। আমার যে ভাইবোনেরা মাঠে খেটে কাজ করেন, এই দেশ, এই রাজ্যকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমি তো বলব, এরা নেকড়ে। আর আমাদের রাজ্যকে ওদের থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।"