সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঙ্গীতের স্বর্ণযুগের অন্যতম মায়েস্ত্রো মহম্মদ রফি। আইটেম গান, দেশাত্মবোধক গান, নায়ক-নায়িকাদের লিপে বিরহ থেকে চূড়ান্ত রোম্যান্টিক গান, সুফি-কাওয়ালি থেকে ভজন ভক্তিমূলক, সঙ্গীতের সব ঘরানায় অবাধ বিচরণ তাঁরা। বাংলা ভাষার গানও গেয়েছেন রফি সাহেব। এবার কিংবদন্তী সেই সঙ্গীতশিল্পীর জীবনকাহিনী উঠে আসবে রুপোলি পর্দায়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই মহম্মদ রফির জন্মশতবর্ষ। সেইসময়েই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বায়োপিকের (Mohammad Rafi Biopic)।
ষাট-সত্তরের দশকে রফির কণ্ঠের সেসব সুপারহিট গান আজও শ্রোতাদের কাছে অমলিন। 'লিখে জো খত তুঝে', 'আজ মৌসম বড়া মেইমান', 'ম্যায় জিন্দেগি কা সাথ নিভাতা চলা গ্যায়া', 'কৌন হ্যায় জো স্বপ্নো মে আয়া' থেকে 'পর্দা হ্যায় পর্দা', 'গুলাবি আঁখে', 'ক্যায়া সে ক্যায়া হো গয়া'র মতো হাজারেরও বেশি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মহম্মদ রফি। গানের কেরিয়ারে চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষীও থেকেছেন। শোনা যায়, তাঁর কেরিয়ার যখন উচ্চগগনে তখন কিশোর কুমারের প্রবেশেই সেটা ধাক্কা খায়! যদিও এই বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। কারণ তিনি ছিলেন কিশোরের অগ্রজ শিল্পী। তাঁর জীবনের বহু অজানা কথা ফুটে উঠবে বায়োপিকে।
তারকাদের জীবনী পর্দায় এলে পরিচালকের আসনে কে থাকছেন? সেই কৌতূহল বরাবরই থাকে। মহম্মদ রফির জীবনীচিত্রের দায়িত্বে কে? শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা পরিচালনার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা এগিয়েছে অক্ষয় কুমার অভিনীত 'ওহ মাই গড' ছবি খ্যাত পরিচালক উমেশ শুক্লার সঙ্গে। অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর অভিনীত '১০২ নট আউট' এবং 'ঢুন্ডতে রহে জাওগে' সিনেমাটিও তাঁর তৈরি করা। সদ্য গোয়াতে আয়োজিত IFFI-তে হিন্দি সিনেমা এবং সঙ্গীতজগতে রফি সাহেবের অনবদ্য অবদানের জন্য রাজ কাপুর, তপন সিনহা, আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাওয়ের পাশাপাশি তাঁকেও শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়েছে।
গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চেই কিংবদন্তী শিল্পীর পুত্র শাহিদ জানালেন, 'আসমান সে আয়া ফরিস্তা- মহম্মদ রফি- দ্য কিং অফ মেলোডি' ছবিটির জন্য পরিচালক উমেশ শুক্লার সঙ্গে বর্তমানে কথা চলছে। যদিও বায়োপিকের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা হবে বলেও জানিয়েছেন রফিপুত্র।