সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বুধবার এ আর রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর সহশিল্পী গিটার বাদক মোহিনী দেও, বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেন। নিন্দুকরা এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে টেনে রটিয়ে দেয়, রহমান ও মোহিনীর পরকীয়া কাণ্ড! এই গুঞ্জন নিয়ে রহমান কোনও মন্তব্য না করলেও, তাঁর আইনজীবী নসাৎ করেছে এই খবর। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে ঝাঁঝালো উত্তর দিলেন বঙ্গললনা মোহিনী। স্পষ্টই জানালেন, রহমান তাঁর কাছে পিতৃসম!
সোমবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মোহিনী। সঙ্গে লম্বা ক্যাপশন। মোহিনী জানান, ''খুব অবাক লাগছে, চারিদিকে আমাকে আর রহমানকে নিয়ে যে ধরনের ভুয়ো খবর রটেছে। সংবাদমাধ্যমরা যেভাবে পুরো বিষয়টাকে নিয়ে কেচ্ছা করছে, তা সত্য়িই ক্রাইমের পর্যায় পরে। আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। অকারণ কলঙ্কিত করা হচ্ছে।''
২৯ বছরের মোহিনী দে, কলকাতার মেয়ে। রহমানের সঙ্গে দেশে-বিদেশে প্রায় ৪০ টি শোয়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিজের অ্য়ালবামও প্রকাশ করেছেন। শোনা যায়, রহমানের খুবই পছন্দের শিল্পী তিনি।
মোহিনী তাঁর পোস্টে লিখলেন, ”হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত। দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব। এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।”
অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে।
বিয়ের এত বছর পর আচমকা কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তাঁর স্ত্রীর। কিন্তু তা হল না।
বিবৃতিতে লেখা, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছে যাব এই আশা ছিল। কিন্তু নিয়তির যে অন্য ভাবনা ছিল আর তা আগে থেকে আঁচ করা যায়নি। ভাঙা মনের ভারে ঈশ্বরের আসনও তো টলে যায়। তবুও এই ছিন্নভিন্ন সম্পর্কে আমরা মানে খুঁজতে থাকি। যদিও এই ভাঙা টুকরো গুলো আবার আগের মতো জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। জীবনের এই ভঙ্গুর অধ্যায়ে আমাদের প্রাইভেসিকে সম্মান করার জন্য় আর মহানুভবতার জন্য বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই।’