সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হল শনিবার। ২০০৭ সালের পর আবারও টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত। আবেগের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ। তারকারাও ব্যতিক্রম নন। এমন দিনে মতি নন্দীর উপন্যাসের কথা মনে করালেন রূপম ইসলাম (Rupam Islam)। আর টিম ইন্ডিয়াকে ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়।
শেষ ওভারে বল ছিল হার্দিকের হাতে। ম্যাচ জিততে তখন প্রয়োজন ১৬ রান। আর হার্দিকের কাঁধেই সারা দেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ হল। ‘ছাপরি’র ব্যঙ্গ সহ্য করেও 'নায়ক' হার্দিক পাণ্ডিয়া। জয়ের পর হাপুস নয়নে কেঁদেছেন তিনি। যেন তাতেই সমস্ত অপমান, জ্বালা ধুয়ে ফেলেছেন। সেই ছবি শেয়ার করেছেন রূপম। আর তার সঙ্গে শেয়ার করেছেন মতি নন্দীর 'জীবন অনন্ত' উপন্যাসের ছবি। ক্যাপশনে গায়ক লিখেছেন, "মতি নন্দীর উপন্যাস। নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (উচ্চারণ অনুযায়ী বানান লিখছি)। ওঁর জীবনের কাহিনি শুধু অবিকৃতভাবে কপি করলেই হবে। একটি লাইনও রং চড়াবার দরকার পড়বে না। তবে একটা কথা…একটু রং কমাতে হবে বরং। নইলে মনে হতে পারে লেখকের বাড়াবাড়ি।"
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকাকে বলো খোকা এসেছে’, ভারতের জয়ে তেরঙ্গা হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস সৃজিতের]
এর পরই আবার রূপম লেখেন, "তবে কে নায়ক নন বলুন তো? রোহিত (এরকম স্বার্থহীন ব্যাটসম্যান আমি খুব একটা দেখিনি। ব্যাটসম্যান নন, স্পিরিটে বরং ইনি সেল্ফলেস ব্যাটম্যানের কাছাকাছি)? বিরাট (গত ম্যাচের গোমড়া মুখ— আজকের ম্যাচসেরা)? অক্ষর (কে ভেবেছিল ওঁর এবিলিটি এইভাবে কাজে লাগবে— কখনও ব্যাট, কখনও বল, কখনও ক্যাচ)? সূরিয়া (ওই রকম ক্যাচ— ওই সময়ে?)? বুমরা (৩০ বলে ৩০ চাই, প্রতিপক্ষ দঃ আফ্রিকা, তখন বল করতে এসে ওই ওভার, পাকিস্তানের সঙ্গে ওই ওভারটাও ভুলব না, এরোপ্লেনে বসে ফোনে দেখেছি!), জয়সওয়াল(ম্যাচ খেলেননি, কিন্তু আমি ওঁর জীবনের গল্প পড়েছি!), দ্রাবিড় (সিরিয়াস কথা নয়, বরং মজা করে বলি— আজ এত এত বছর পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশে সৌরভের সঙ্গে টাই করতে পারলেন!)? ঋষভ পন্থ (মৃত্যু থেকে ফিরে এসে জীবনের বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন)? কুলদীপ, অর্শদীপ— এঁদের কথাও লেখা থাকবে ক্রীড়ামোদির আবেগের অক্ষরে।"
এতটা লেখার পর 'ক্ষান্ত' দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন রূপম। তবে এমন দিনে শেষ বললেই আর কথারা ফুরিয়ে যায়? এর পরই আবার গায়ক লেখেন, "এই ম্যাচ বারবার দেখব আমি। তবে এই লেখাটা শেষ করব মতি নন্দীকে ধার করেই। সেটা করা ছাড়া উপায় নেই। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রত্যেক সদস্যই যে আজ হয়ে উঠলেন মতি নন্দীর উপন্যাসের জলজ্যান্ত চরিত্র! প্রমাণ করে দিলেন— শুধু জীবনই অনন্ত নয়। ক্রিকেটও অনন্ত!"