সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইদ উপলক্ষে গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে 'সিকন্দর'। বিষাক্ত পৌরুষকে বিঁধে যতই আলফা মেল-এর আসল সংজ্ঞা তৈরি করুন না কেন, দর্শক কিন্তু ভাইজানকে দেখতে প্রেক্ষাগৃহমুখো হচ্ছে না। ফলে দেশের বিভিন্ন শহরে 'সিকন্দর'-এর ৩৩ শতাংশ শো কমেছে। বক্স অফিসেও 'ভাঁড়ে মা ভবানী' পরিস্থিতি। লাগাতার একের পর এক ফ্লপ সিনেমা উপহার দেওয়ায় কম প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হচ্ছে না সলমনকে। ব্যতিক্রম অবশ্য 'টাইগার ৩'। এদিকে ৬ দিনেও দেশে ১০০ কোটির গণ্ডি পেরতে পারেনি 'সিকন্দর'। এত বড় মাপের সুপারস্টারের এহেন ভরাডুবির জেরে বলিউডকে নিয়ে আশঙ্কায় সিনেবিশেষজ্ঞরা। এমন আবহেই শোনা গেল, 'বজরঙ্গি ভাইজান'-এর সিক্যুয়েল নিয়ে আসতে চলেছেন সলমন খান।
হালে পানি না পাওয়াতেই কি পুরনো ব্লকবাস্টার সিনেমার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ভরসা রাখতে হল ভাইজানকে? উঠেছে প্রশ্ন। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, "সম্প্রতি 'বজরঙ্গি ভাইজান'-এর চিত্রনাট্যকার ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে দেখা করেছেন সলমন। তাঁদের মধ্যে নাকি সিক্যুয়েল নিয়েই কথা হয়েছে। অতঃপর পরিচালক কবীর খানের ফ্রেমে ফের সলমনকে যে খুব শিগগিরিই 'বজরঙ্গি' বেশে দেখা যেতে পারে, তেমন জল্পনা কিন্তু নস্যাৎ করে দেওয়া যায় না।" ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদের চিত্রনাট্যের মোচড়ে 'বজরঙ্গি ভাইজান' দেখে চোখ ভিজেছিল দর্শকদের। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেই ছবি প্রথম সপ্তাহেই রেকর্ড ব্যবসা করে বক্স অফিসেও সাড়া ফেলে দেয়। তথ্য বলছে, গোটা বিশ্বে এই ছবি প্রায় ৯৬৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। শুধু টাকার অঙ্ক নয়, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিটি সলমনেরও খুব প্রিয় ছবি। কারণ, বহুদিন পর হিরোর ইমেজ থেকে বেরিয়ে এই ছবিতে অভিনেতা সলমনকে তুলে ধরেছিলেন তিনি। অতঃপর ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ যে সিক্যুয়েলেও তেমন কোনও চমক রাখতে চলেছেন, সেটা আন্দাজ করাই যায়। কারণ তাঁর কলমেই লেখা 'আরআরআর', 'বাহুবলী' আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে ইতিহাস গড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে মন্দা কেরিয়ারের মোড় ঘোরাতেই কি তাঁর শরণে সলমন খান?
প্রসঙ্গত, 'বজরঙ্গি ভাইজান'-এর সিক্যুয়েল নিয়ে অবশ্য বছরখানেক ধরেই জল্পনা চলছে। ২০২৩ সালে 'আরআরআর'-এর প্রচার অনুষ্ঠানে সলমন নিজেই জানিয়েছিলেন, সিক্যুয়েল আসার কথা। এবার জানা গেল, চিত্রনাট্যের কাজ চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। এবার শুধু 'বজরঙ্গি ভাইজান ২'-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।