সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ নভেম্বর খুনের হুমকি দেওয়া হয় শাহরুখ খানকে (Shah Rukh Khan)। সলমন খানের প্রাণনাশের হুমকির মাঝেই নতুন এই খবরে নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে জানা যায়, ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা ফয়জান খান নামে জনৈকর থেকেই বলিউড বাদশার কাছে খুনের হুমকি আসে। তৎক্ষণাৎ পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এবার ধৃতর ফোনে তল্লাশি চালিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে।
পেশায় আইনজীবী ওই ব্যক্তির ফোন ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি শাহরুখ সম্পর্কে নানারকম তথ্য জোগাড় করছিলেন ফয়জান খান। শুধু কিং খানই নন, তাঁর নিশানায় ছিলেন বাদশাপুত্র আরিয়ান খানও। শাহরুখের নিরাপত্তাবলয়ের বিষয়েও খুঁটিনাটি তথ্য ইন্টারনেট ঘেঁটে জোগাড় করেছিলেন ফয়জান। এমনকী শাহরুখ এবং আরিয়ান নিত্যদিন কোথায়, কখন যেতেন, কী করতেন সমস্ত গতিবিধির উপর নজর ছিল ধৃতর। পুলিশি সূত্রে খবর, রীতিমতো আটঘাট বেঁধে শাহরুখ খানকে খুনের হুমকি দেন ফয়জান খান। ইন্টারনেটে বাদশা এবং তাঁর পরিবারের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন ধৃত। ফয়জান খানের বাজেয়াপ্ত মোবাইল ফোনের 'সার্চ হিস্ট্রি' খতিয়ে দেখেই বিষয়টি জানতে পারে তদন্তকারী পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে ধৃতকে প্রশ্ন করলে কোনওরকম সদুত্তর পায়নি পুলিশ।
সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের কাছে একটি উড়োফোন আসে। সেই ফোনেই ৫০ লক্ষ টাকা না দিলে শাহরুখ খানকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। ফোনের লোকেশন যাচাই করে ছত্তিশগড়ে পৌঁছে যায় মুম্বই পুলিশ। ফয়জান খান নামের এক ব্যক্তির নম্বর থেকেই ওই হুমকি ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছে। এর পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৮ এবং ৩৫১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তৎক্ষণাৎ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয় মুম্বই পুলিশ। জেরার মুখে ফয়জান জানিয়েছেন, "আমার চুরি করা ফোন থেকেই কেউ হুমকি দিয়েছে। কারণ, ফোন খোয়া যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি আমি।" ফয়জানকে জেরার পর ধন্দে পুলিশ। কিন্তু এর পরই ধৃতর দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের কাছে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি সর্বক্ষণ শাহরুখ এবং আরিয়ান খানের গতিবিধির উপর নজর রাখতেন।